قُلِ الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ وَسَلٰمٌ عَلٰی عِبَادِہِ الَّذِیۡنَ اصۡطَفٰی ؕ آٰللّٰہُ خَیۡرٌ اَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ ؕ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩৪. বিভিন্ন নবী-রাসূলের ঘটনা বর্ণনা করার পর আল্লাহ তাআলা এবার তাঁর তাওহীদের দলীল-প্রমাণ উল্লেখ করছেন। এটা এমনই এক আকীদা, সমস্ত নবী-রাসূল যা প্রচার করে গেছেন। এটা সকল দীনের এক সাধারণ বিষয় এবং আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের দাওয়াতী কার্যক্রমের প্রধানতম ধারা। বিশ্বজগতে আল্লাহ তাআলার অপার কুদরতের যে নিদর্শনাবলী সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, সে দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হচ্ছে, যেই মহিমময় সত্তা এই মহাজগত সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে বিস্ময়কর নিয়ম-শৃঙ্খলার অধীন করে দিয়েছেন, তাঁর কি নিজ প্রভুত্বে কোন অংশীদারের প্রয়োজন থাকতে পারে? জগত পরিচালনায় তাঁর কি কোন সাহায্যকারীর দরকার আছে?
তাওহীদ সম্পর্কে এটা অত্যধিক বলিষ্ঠ ও তাৎপর্যপূর্ণ এক ভাষণ। তরজমার মাধ্যমে এর ওজস্বিতা অন্য কোন ভাষায় প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়। তথাপি এর মর্মবাণী যাতে তরজমার ভেতর এসে যায় সে চেষ্টা করা হয়েছে। যেহেতু এ ভাষণটি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমেই মানুষের কাছে পৌঁছেছে, তাই এর শুরুতে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তিনি এর সূচনা করেন আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তাঁর মনোনীত বান্দাদের প্রতি সালাম পাঠের মাধ্যমে। এভাবে মানুষকে বক্তৃতা করার এই আদব শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, কেউ বক্তৃতা করলে তা শুরু করবে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও নবী-রাসূলগণের প্রতি সালাম পাঠ দ্বারা।