আর সে তাদের সামনে তা পড়ে দিত, তবুও তারা তাতে ঈমান আনত না। ৫৮
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫৮. অর্থাৎ, কুরআন মাজীদ যে একটি মুজিযা ও মনুষ্যশক্তির ঊর্ধ্বের বিষয় তা আরও বেশি পরিষ্কার এভাবে করা যেত যে, আরবী ভাষায় এই কিতাবকে অন্য কোন ভাষাভাষী ব্যক্তির প্রতি নাযিল করা হত আর অনারবী সেই লোক আরবী ভাষা না জানা সত্ত্বেও আরবী কুরআন পড়ে শুনিয়ে দিত। কিন্তু সেটা করলেই কি এসব লোক ঈমান আনত? কখনও আনত না। কেননা বিষয়টা তো এমন নয় যে, কুরআন মাজীদের সত্যতা সম্পর্কিত দলীল-প্রমাণে কোনরূপ দুর্বলতা আছে আর সে কারণেই তারা ঈমান আনছে না। বরং তাদের ঈমান না আনার কারণ কেবল তাদের জেদী মানসিকতা। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে যত শক্তিশালী দলীলই সামনে আসুক না কেন তারা কিছুতেই ঈমান আনবে না।