আন নূর

সূরা নং: ২৪, আয়াত নং: ৪১

তাফসীর
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ یُسَبِّحُ لَہٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَالطَّیۡرُ صٰٓفّٰتٍ ؕ کُلٌّ قَدۡ عَلِمَ صَلَاتَہٗ وَتَسۡبِیۡحَہٗ ؕ وَاللّٰہُ عَلِیۡمٌۢ بِمَا یَفۡعَلُوۡنَ

উচ্চারণ

আলাম তারা আন্নাল্লা-হা ইউছাব্বিহুলাহূমান ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াততাইরু সাফফা-তিন কুল্লুন কাদ ‘আলিমা সালা-তাহূওয়া তাছবীহাহূও ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুম বিমা-ইয়াফ‘আলুন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তুমি কি দেখনি আসমান ও যমীনে যা-কিছু আছে, তারা আল্লাহরই তাসবীহ পাঠ করে এবং পাখিরাও, যারা পাখা বিস্তার করে উড়ছে। প্রত্যেকেরই নিজ-নিজ নামায ও তাসবীহের পদ্ধতি জানা আছে। ৪০ আল্লাহ তাদের যাবতীয় কাজ সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞাত।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৪০. সূরা বনী ইসরাঈলে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, বিশ্বজগতের প্রতিটি বস্তু আল্লাহ তাআলার তাসবীহ পাঠ করে। কিন্তু তোমরা তাদের তাসবীহ বুঝতে পার না (১৭ : ৪৪)। এখানে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, প্রত্যেক জিনিসের তাসবীহের পদ্ধতি আলাদা। বিশ্বজগতের প্রতিটি বস্তু আপন-আপন পন্থায় আল্লাহ তাআলার তাসবীহ আদায়ে রত আছে। সূরা বনী ইসরাঈলের উল্লিখিত আয়াতের টীকায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, কুরআন মাজীদের বহু আয়াত দ্বারা জানা যায়, দুনিয়ায় আমরা যে সকল বস্তুকে অনুভূতিহীন মনে করি, তাদের মধ্যে কিছু না কিছু অনুভূতি অবশ্যই আছে। এখন তো আধুনিক বিজ্ঞানও একথা ক্রমশ স্বীকার করছে।
﴾﴿