اَوۡ کَظُلُمٰتٍ فِیۡ بَحۡرٍ لُّجِّیٍّ یَّغۡشٰہُ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِہٖ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِہٖ سَحَابٌ ؕ ظُلُمٰتٌۢ بَعۡضُہَا فَوۡقَ بَعۡضٍ ؕ اِذَاۤ اَخۡرَجَ یَدَہٗ لَمۡ یَکَدۡ یَرٰىہَا ؕ وَمَنۡ لَّمۡ یَجۡعَلِ اللّٰہُ لَہٗ نُوۡرًا فَمَا لَہٗ مِنۡ نُّوۡرٍ ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩৯. যেসব কাফের আখেরাতকেও মানে না, এটা তাদের দৃষ্টান্ত। বিশ্বাসের দিক থেকে এরা অধিকতর নিঃস্ব হওয়ার কারণে এরা অতটুকু আলোও পাবে না, যতটুকু প্রথমোক্ত দল পেয়েছিল। তারা তো অন্তত এই আশা করতে পেরেছিল যে, তাদের কর্ম আখেরাতে তাদের উপকারে আসবে, কিন্তু এই দলের সে রকম আশারও লেশমাত্র থাকবে না।
কোন কোন মুফাসসির উপমা দু’টির পার্থক্য ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে, কাফেরদের কর্ম দু’রকম হয়ে থাকে। (এক) সেই সকল কাজ, যাকে তারা পুণ্য মনে করে এবং সেই বিশ্বাসেই তা করে। তাদের আশা তা করলে তাদের উপকার হবে। এ জাতীয় কাজের দৃষ্টান্ত হল মরীচিকা। (দুই) এমন সব কাজ যাকে তারা পুণ্য মনে করে না এবং তাতে তাদের উপকারের আশাও থাকে না। এর দৃষ্টান্ত হল পুঞ্জীভূত অন্ধকার, যাতে আলোর লেশমাত্র থাকে না। এখানে সমুদ্রগর্ভের অন্ধকার হল তাদের কুফরী আকীদা-বিশ্বাসের উপমা। তাতে এক তরঙ্গ তাদের অসৎকর্মের আর দ্বিতীয় তরঙ্গ জেদ ও হঠকারিতার উপমা। এভাবে উপর-নিচ স্তরবিশিষ্ট নিবিড় অন্ধকার পুঞ্জীভূত হয়ে গেল। এরূপ ঘন অন্ধকারের ভেতর মানুষ যেমন নিজের হাতও দেখতে পায় না, তেমনিভাবে কুফর ও নাফরমানীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকার কারণে তারা নিজেদের স্বরূপও উপলব্ধি করতে পারছে না।