আন নূর

সূরা নং: ২৪, আয়াত নং: ৩

তাফসীর
اَلزَّانِیۡ لَا یَنۡکِحُ اِلَّا زَانِیَۃً اَوۡ مُشۡرِکَۃً ۫ وَّالزَّانِیَۃُ لَا یَنۡکِحُہَاۤ اِلَّا زَانٍ اَوۡ مُشۡرِکٌ ۚ وَحُرِّمَ ذٰلِکَ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

উচ্চারণ

আঝঝা-নী লা-ইয়ানকিহুইল্লা-ঝা-নিইয়াতান আও মুশরিকাতাওঁ ওয়াঝঝা-নিয়াতুলাইয়ানকিহুহাইল্লা-ঝা-নিন আও মুশরিকুওঁ ওয়া হুররিমা যা-লিকা ‘আলাল মু’মিনীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণী বা মুশরিক নারীকেই বিবাহ করে। আর ব্যভিচারিণীকে বিবাহ করে কেবল সেই পুরুষ যে নিজে ব্যভিচারকারী বা মুশরিক। মুমিনদের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২. অর্থাৎ, বিবাহের জন্য ব্যভিচারী বা ব্যভিচারিণীকে পছন্দ করা মুমিনদের জন্য হারাম। জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের উচিত চারিত্রিক পবিত্রতাকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখা। এটা ভিন্ন কথা যে, কেউ কোন ব্যভিচারী বা ব্যভিচারিণীকে বিবাহ করে ফেললে তার সে বিবাহকে বাতিল করা হবে না এবং বিবাহজনিত সমস্ত বিধান ও দায়-দায়িত্ব সেক্ষেত্রে কার্যকর হবে। কিন্তু সে কেন ভুল নির্বাচন করল, সেজন্য অবশ্যই গুনাহগার হবে। প্রকাশ থাকে যে, এ বিধান কেবল সেই ব্যভিচারীর জন্য, যে ব্যভিচারে অভ্যস্ত হয়ে গেছে এবং তা থেকে তাওবার গরজ বোধ করে না। কেউ যদি ব্যভিচারের পর আন্তরিকভাবে তাওবা করে ফেলে, তার সঙ্গে বিবাহে কোন দোষ নেই। আয়াতটির উপরে বর্ণিত ব্যাখ্যা ছাড়া অন্য ব্যাখ্যাও করা হয়েছে, কিন্তু তার চেয়ে এ ব্যাখ্যাই বেশি সহজ ও নিখুঁত। ‘বয়ানুল কুরআন’ গ্রন্থে হযরত হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী (রহ.)ও এ ব্যাখ্যাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
﴾﴿