২. আল বাকারা ( আয়াত নং - ৭৩ )

bookmark
فَقُلۡنَا اضۡرِبُوۡہُ بِبَعۡضِہَا ؕ کَذٰلِکَ یُحۡیِ اللّٰہُ الۡمَوۡتٰی ۙ وَیُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ
ফাকুলনাদরিবূহু ব্বিা‘দিহা- কাযা-লিকা ইউহইল্লা-হুল মাওতা- ওয়া ইউরীকুম আ-য়া-তিহী লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

অতঃপর আমি বললাম, তাকে (নিহতকে) তার (গাভীর) একটা অংশ দ্বারা আঘাত কর। ৫৮ এভাবেই আল্লাহ মৃতদেরকে জীবিত করেন এবং তোমাদেরকে নিজ (কুদরতের) নিদর্শনাবলী দেখান, যাতে তোমরা বুঝতে পার।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

৫৮. ঐতিহাসিক বর্ণনাসমূহে প্রকাশ যে, বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি মীরাছের লোভে তার ভাইকে হত্যা করল এবং তার লাশ সড়কের উপর ফেলে রাখল। তারপর ঘাতক নিজেই হযরত মূসা আলাইহিস সালামের কাছে গিয়ে মোকদ্দমা দায়ের করল এবং ঘাতককে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার দাবী জানাল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হযরত মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তাআলার নির্দেশে তাদেরকে একটি গাভী যবাহ করতে বললেন, যেমন আয়াতে বিবৃত হয়েছে। গাভীটি যবাহ করা হলে তিনি বললেন, এর একটা অঙ্গ দ্বারা লাশকে আঘাত কর। তাহলে সে জীবিত হয়ে তার খুনীর নাম বলে দেবে। সুতরাং তাই হল এবং এভাবে খুনীর মুখোশ খুলে গেল ও তাকে গ্রেফতার করা হল। তাকে খুঁজে বের করার এই যে পন্থা অবলম্বন করা হল, এর একটা ফায়দা তো এই যে, এর ফলে খুনীর ছল-চাতুরি করার পথ বন্ধ হয়ে গেল। দ্বিতীয়ত আল্লাহ তাআলা যে মৃতকে জীবিত করার ক্ষমতা রাখেন, তার একটি বাস্তব নমুনা দেখিয়ে সেই সকল লোকের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হল, যারা মৃত্যুর পর পুনর্জীবনকে অসম্ভব মনে করছিল। সম্ভবত এ ঘটনার পর থেকেই বনী ইসরাঈলের মধ্যে এই রীতি চালু হয়েছে যে, যদি কেউ নিহত হয় এবং তার হত্যাকারীর সন্ধান পাওয়া না যায়, তবে একটি গাভী যবাহ করে তার রক্তে হাত ধোয়া হয় এবং কসম করা হয় যে, আমরা তাকে হত্যা করিনি। বাইবেলের দ্বিতীয় বিবরণে (১২:১-৮) এর উল্লেখ রয়েছে।
সূরা আল বাকারা, আয়াত ৮০