২. আল বাকারা ( আয়াত নং - ৭৪ )

bookmark
ثُمَّ قَسَتۡ قُلُوۡبُکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ فَہِیَ کَالۡحِجَارَۃِ اَوۡ اَشَدُّ قَسۡوَۃً ؕ وَاِنَّ مِنَ الۡحِجَارَۃِ لَمَا یَتَفَجَّرُ مِنۡہُ الۡاَنۡہٰرُ ؕ وَاِنَّ مِنۡہَا لَمَا یَشَّقَّقُ فَیَخۡرُجُ مِنۡہُ الۡمَآءُ ؕ وَاِنَّ مِنۡہَا لَمَا یَہۡبِطُ مِنۡ خَشۡیَۃِ اللّٰہِ ؕ وَ مَا اللّٰہُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ
ছু ম্মা কাছাত কুলূবুকুম মিম বা‘দি যা-লিকা ফাহিয়া কাল হিজা-রাতি আও আশাদ্দু কাছওয়াতাওঁ ওয়াইন্না মিনাল হিজা-রাতি লামা-ইয়াতাফাজ্জারু মিনহুল আনহা-রু ওয়াইন্না মিনহা-লামা-ইয়াশশাক্কাকু ফাইয়াখরুজুমিনহুল মাউ ওয়া ইন্না মিনহা-লামা-ইয়াহবিতুমিন খাশইয়াতিল্লা-হি ওয়ামাল্লা-হু বিগা-ফিলিন ‘আম্মা-তা‘মালূন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

এসব কিছুর পর তোমাদের অন্তর আবার শক্ত হয়ে গেল, এমনকি তা হয়ে গেল পাথরের মত; বরং তার চেয়েও বেশি শক্ত। (কেননা) পাথরের মধ্যে কিছু তো এমনও আছে, যা থেকে নদী-নালা প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে কিছু এমন আছে যা ফেটে যায় এবং তা থেকে পানি নির্গত হয়, আবার তার মধ্যে এমন (পাথর)-ও আছে, যা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে পড়ে। ৫৯ আর (এর বিপরীতে) তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে অনবহিত নন।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

৫৯. অর্থাৎ কখনও পাথর থেকে ঝর্নাধারা বের হয়ে আসে, যেমন বনী ইসরাঈল নিজেদের চোখেই দেখতে পেয়েছিল, কিভাবে পাথরের এক চাঁই থেকে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হয়েছিল (দেখুন ২ : ৬০)। অনেক সময় অত বেশি পানি বের না হলেও পাথর বিদীর্ণ হয়ে অল্প-বিস্তর পানি নিঃসৃত হয়। আবার কিছু পাথর আল্লাহর ভয়ে কেঁপে গড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তাদের দিল্ এমনই শক্ত যে, একদম গলে না। একটা কাল তো এমন ছিল যখন নিষ্প্রাণ পাথর কিভাবে ভয় পেতে পারে তা কিছু লোকের বুঝে আসত না, কিন্তু কুরআন মাজীদ কয়েক জায়গায় এ বাস্তবতা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আমরা আপাতদৃষ্টিতে যেসব জিনিসকে নিষ্প্রাণও অনুভূতিহীন মনে করি, তার মধ্যেও কিছু না কিছু অনুভূতি আছে। দেখুন সূরা বনী ইসরাঈল (১৭ : ৪৪) ও সূরা আহযাব (৩৩ : ২৭)। সুতরাং আল্লাহ তাআলা যখন বলছেন, কিছু পাথর আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত হয়, তখন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। বর্তমানে তো বিজ্ঞান ক্রমশ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছে যে, জড় পদার্থের ভেতরেও বর্ধন ও অনুভূতির কিছু না কিছু যোগ্যতা রয়েছে।
সূরা আল বাকারা, আয়াত ৮১