২. আল বাকারা ( আয়াত নং - ৪৯ )

bookmark
وَاِذۡ نَجَّیۡنٰکُمۡ مِّنۡ اٰلِ فِرۡعَوۡنَ یَسُوۡمُوۡنَکُمۡ سُوۡٓءَ الۡعَذَابِ یُذَبِّحُوۡنَ اَبۡنَآءَکُمۡ وَیَسۡتَحۡیُوۡنَ نِسَآءَکُمۡ ؕ وَفِیۡ ذٰلِکُمۡ بَلَآءٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ عَظِیۡمٌ
ওয়া ইযনাজ্জাইনা-কুম মিন আ-লি ফির‘আওনা ইয়াছুমূনাকুম ছূআল ‘আযা-বি ইউযাব্বিহুনা আবনাআকুম ওয়াইয়াছতাহইউনা নিছাআকুম ওয়া ফী যা-লিকুম বালাউম মিররাব্বিকুম ‘আজীম।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

এবং (সেই সময়কেও স্মরণ কর), যখন আমি তোমাদেরকে ফির‘আউনের লোকজন থেকে মুক্তি দেই, যারা তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি দিচ্ছিল। তোমাদের পুত্রদেরকে যবাহ করে ফেলছিল এবং তোমাদের নারীদেরকে জীবিত রাখছিল। ৪৪ আর এই যাবতীয় পরিস্থিতিতে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমাদের জন্য ছিল মহা পরীক্ষা।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

৪৪. ফির‘আউন ছিল মিসরের রাজা (আধুনিক গবেষণা অনুযায়ী তার নাম মিনিফতাহ, শাসনকাল খৃ. পূ. ১২৩৫ থেকে ১২২৪। ইনি দ্বিতীয় রেয়েমসীস [খৃ.পূ. ১২৯০-১২৩৫]-এর পুত্র ও স্থলাভিষিক্ত।) মিসরে বিপুল সংখ্যক ইয়াহুদী বাস করত এবং তারা ফির‘আউনের দাসরূপে জীবন যাপন করত। একবার এক জ্যোতিষী ফির‘আউনের সামনে ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ করল যে, এ বছর বনী ইসরাঈলে একটি শিশুর জন্ম হবে, যার হাতে তার রাজত্ব ধ্বংস হবে। এ ভবিষ্যদ্বাণী শুনে সে ফরমান জারি করল, বনী ইসরাঈলে যত শিশুর জন্ম হবে, সকলকে হত্যা করা হোক, তবে মেয়ে শিশুকে নয়। কেননা বড় হলে তাদের থেকে সেবা নেওয়া যাবে। এভাবে বহু নবজাতককে হত্যা করা হয়। হযরত মূসা আলাইহিস সালামও এ বছরই জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাকে রক্ষা করেন। বিস্তারিত ঘটনা সূরা তোয়াহা ও সূরা কাসাস-এ স্বয়ং কুরআন মাজীদই বর্ণনা করেছে।