২. আল বাকারা ( আয়াত নং - ৪১ )

bookmark
وَاٰمِنُوۡا بِمَاۤ اَنۡزَلۡتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَکُمۡ وَلَا تَکُوۡنُوۡۤا اَوَّلَ کَافِرٍۭ بِہٖ ۪ وَلَا تَشۡتَرُوۡا بِاٰیٰتِیۡ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ۫ وَّاِیَّایَ فَاتَّقُوۡنِ
ওয়াআ-মিনূবিমা আনঝালতুমুসাদ্দিকালিল মা- মা‘আকুম ওয়ালা-তাকূনূ আওওয়ালা কা-ফিরিম বিহী ওয়ালা-তাশতারূবিআ-য়া-তী ছামানান কালীলাওঁ ওয়াইয়্যা-ইয়া ফাত্তাকূন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

আর আমি যে বাণী নাযিল করেছি তাতে ঈমান আন, যখন তা তোমাদের কাছে যে কিতাব (তাওরাত) আছে, তার সমর্থকও বটে। আর তোমরাই এর প্রথম অস্বীকারকারী হয়ো না। আর আমার আয়াতসমূহকে তুচ্ছ মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করো না। আর তোমাদের অন্তরে (অন্য কারও নয়) কেবল আমারই ভয়কে স্থিত কর। ৪১

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

৪১. বনী ইসরাঈলকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তাওরাত ও ইনজীলের যে দাওয়াত ছিল কুরআন মাজীদ সেই দাওয়াত নিয়েই এসেছে এবং তারা যে আসমানী কিতাবের প্রতি বিশ্বাস রাখে কুরআন মাজীদ তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন তো করেই না; বরং দু’ভাবে তার সমর্থন করে থাকে। এক তো এভাবে যে, কুরআন মাজীদ স্বীকার করে, এসব কিতাব আল্লাহ তাআলারই নাযিল করা (পরবর্তীকালের লোকে যে নানাভাবে তাতে রদবদল করেছে, সেটা আলাদা কথা। কুরআন মাজীদ সে রদবদলের প্রকৃতিও স্পষ্ট করে দিয়েছে)। দ্বিতীয়ত তাতে শেষ নবীর আগমন সম্পর্কে যে ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, কুরআন মাজীদ তার সত্যতা প্রমাণ করেছে। এর তো দাবী ছিল বনী ইসরাঈল আরব পৌত্তলিকদের আগেই তাঁর প্রতি ঈমান আনবে। কিন্তু হল তার বিপরীত। আরব পৌত্তলিকগণ যেমন দ্রুতগতিতে ইসলাম গ্রহণ করছে, ইয়াহুদীরা ইসলামের প্রতি তেমন গতিসম্পন্ন হচ্ছে না। এভাবে যেন তারা কুরআন মাজীদকে অস্বীকার করার ব্যাপারেই অগ্রগামী থাকছে। এ কারণেই বলা হয়েছে, তোমরাই এর প্রথম অস্বীকারকারী হয়ো না। কতক ইয়াহুদীর নীতি ছিল আম-সাধারণের থেকে উৎকোচ নিয়ে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাওরাতের ব্যাখ্যা করা, কখনও তাওরাতের বিধান গোপন করা। তাদের এই দুর্নীতির প্রতি ইশারা করে বলা হয়েছে, ‘আমার আয়াতসমূহকে তুচ্ছ মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করো না, সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং সত্য গোপন করো না।’