২. আল বাকারা ( আয়াত নং - ৪০ )

bookmark
یٰبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتِیَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ وَاَوۡفُوۡا بِعَہۡدِیۡۤ اُوۡفِ بِعَہۡدِکُمۡ ۚ وَاِیَّایَ فَارۡہَبُوۡنِ
ইয়া-বানী ইছরাঈলাযকুরূনি‘মাতিয়াল্লাতী আন‘আমতু‘আলাইকুম ওয়াআওফূ বি‘আহদি ঊফি বি‘আহদিকুম ওয়াইয়্যা-ইয়া ফারহাবূন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

হে বনী ইসরাঈল! তোমরা আমার সেই নি‘আমত স্মরণ কর, যা আমি তোমাদেরকে দিয়েছিলাম এবং তোমরা আমার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি পূর্ণ কর, তাহলে আমিও তোমাদের সাথে আমার কৃত প্রতিশ্রুতি পূরণ করব। আর তোমরা (অন্য কাউকে নয়; বরং) কেবল আমাকেই ভয় কর। ৪০

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

৪০. হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের আরেক নাম ইসরাঈল। তাঁর বংশধরদেরকে বনী ইসরাঈল বলা হয়, সমস্ত ইয়াহুদী এবং অধিকাংশ খ্রিস্টান এ বংশের সাথেই সম্পৃক্ত ছিল। মদীনা মুনাওয়ারায় বিপুল সংখ্যক ইয়াহুদী বসবাস করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় পৌঁছে ইয়াহুদীদেরকে যে কেবল ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন তাই নয়; বরং তাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তিও সম্পাদন করেছিলেন। এই মাদানী সূরায় আলোচ্য আয়াত থেকে আয়াত নং ১৪৩ পর্যন্ত একাধারে তাদেরই সম্পর্কে আলোচনা। এতে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে বিভিন্ন রকম উপদেশ দেওয়ার সাথে সাথে তাদের উপর্যুপরি দুষ্কৃতি সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রথমে তাদেরকে স্মরণ করানো হয়েছে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে কত রকম নি‘আমত দান করেছিলেন, যার দাবী ছিল তারা আল্লাহ তাআলার শুকর আদায় করবে এবং তাওরাত গ্রন্থে তাদের থেকে যে প্রতিশ্রুতি নেওয়া হয়েছিল তা পূরণ করবে। তাদের থেকে প্রতিশ্রুতি নেওয়া হয়েছিল যে, তারা যথাযথভাবে তাওরাতের অনুসরণ করবে এবং আল্লাহ-প্রেরিত প্রত্যেক নবীর প্রতি ঈমান আনবে। কিন্তু তারা তাওরাতের অনুসরণ তো করলই না, উল্টো তার মনগড়া ব্যাখ্যা করল এবং তার বিধানাবলীতে নানা রকম রদবদল করল। তাদের এ কর্মপন্থার একটা কারণ এ-ও ছিল যে, তাদের আশঙ্কা ছিল সত্য কবুল করলে তাদের সধর্মীয়রা তাদের প্রতি বিদ্বিষ্ট হয়ে পড়বে। তাই এ দুই আয়াতের শেষে তাদেরকে উপদেশ দেওয়া হয়েছে যে, মাখলুককে ভয় না করে তাদের উচিত কেবল আল্লাহ তাআলাকেই ভয় করা এবং অন্তরে তাঁর ছাড়া অন্য কারও ভয়কে স্থান না দেওয়া।