وَالۡوَالِدٰتُ یُرۡضِعۡنَ اَوۡلَادَہُنَّ حَوۡلَیۡنِ کَامِلَیۡنِ لِمَنۡ اَرَادَ اَنۡ یُّتِمَّ الرَّضَاعَۃَ ؕ وَعَلَی الۡمَوۡلُوۡدِ لَہٗ رِزۡقُہُنَّ وَکِسۡوَتُہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ لَا تُکَلَّفُ نَفۡسٌ اِلَّا وُسۡعَہَا ۚ لَا تُضَآرَّ وَالِدَۃٌۢ بِوَلَدِہَا وَلَا مَوۡلُوۡدٌ لَّہٗ بِوَلَدِہٖ ٭ وَعَلَی الۡوَارِثِ مِثۡلُ ذٰلِکَ ۚ فَاِنۡ اَرَادَا فِصَالًا عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡہُمَا وَتَشَاوُرٍ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِمَا ؕ وَاِنۡ اَرَدۡتُّمۡ اَنۡ تَسۡتَرۡضِعُوۡۤا اَوۡلَادَکُمۡ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ اِذَا سَلَّمۡتُمۡ مَّاۤ اٰتَیۡتُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ وَاتَّقُوا اللّٰہَ وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ
উচ্চারণ
ওয়াল ওয়া-লিদা-তু ইউরদি না আওলা-দাহুন্না হাওলাইনি কা-মিলাইনি লিমান আরা-দা আই ইউতিম্মাররাদা-‘আতাওঁ ওয়া আলাল মাওলূদি লাহু রিঝকুহুন্না ওয়া কিছওয়াতুহুন্না বিলমা‘রূফি লা-তুকাল্লাফুনাফছুন ইল্লা-উছ‘আহা-লা-তুদাররা ওয়া-লিদাতুম বিওয়ালাদিহা-ওয়ালা-মাওলূদুল্লাহু বিওয়ালাদিহি ওয়া ‘আলাল ওয়া-রিছিমিছলুযালিকা ফাইন আরা-দা-ফিসা-লান ‘আন তারা-দিম মিনহুমা-ওয়াতাশা-উরিন ফালাজুনা-হা ‘আলাইহিমা- ওয়া ইন আরাত্তুম আন তাছতারদি‘ঊ আওলা-দাকুম ফালা-জুনাহা ‘আলাইকুম ইযা-ছাল্লামতুম মাআ-তাইতুম বিলমা‘রূফি ওয়াত্তাকুল্লা-হা ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা বিমা-তা‘মালূনা বাসীর।
মুফতী তাকী উসমানী
মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’ বছর দুধ পান করাবে। (এ সময়কাল) তাদের জন্য, যারা দুধ পান করানোর মেয়াদ পূর্ণ করতে চায়। সন্তান যে পিতার, তার কর্তব্য ন্যায়সম্মতভাবে মায়েদের খোরপোষের ভার বহন করা। ১৭৩ (হাঁ) কাউকে তার সামর্থ্যরে বাইরে ক্লেশ দেওয়া হয় না। মাকে তার সন্তানের কারণে কষ্ট দেওয়া যাবে না এবং পিতাকেও তার সন্তানের কারণে নয়। ১৭৪ অনুরূপ দায়িত্ব ওয়ারিশের উপরও রয়েছে। ১৭৫ অতঃপর তারা (পিতা-মাতা) পারস্পরিক সম্মতি ও পরামর্শক্রমে (দু’ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই) যদি দুধ ছাড়াতে চায়, তবে তাতেও তাদের কোনও গুনাহ নেই। তোমরা যদি তোমাদের সন্তানদেরকে (কোন ধাত্রীর) দুধ পান করাতে চাও, তাতেও তোমাদের কোনও গুনাহ নেই যদি তোমরা ধার্যকৃত পারিশ্রমিক (ধাত্রীমাতাকে) ন্যায়ভাবে আদায় কর এবং তোমরা আল্লাহকে ভয় করে চলো এবং জেনে রেখ, আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ ভালোভাবে দেখছেন।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৭৩. তালাক সংক্রান্ত বিধানাবলীর মাঝখানে শিশুর দুধ পান করানোর বিষয়টা উল্লেখ করা হয়েছে এ হিসেবে যে, অনেক সময় এটাও পিতা-মাতার মধ্যে কলহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এ স্থলে যে আহকাম বর্ণিত হয়েছে, তা তালাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সাধারণভাবে সর্বাবস্থায়ই প্রযোজ্য। এ স্থলে প্রথমে এ বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, দুধ সর্বোচ্চ দু’ বছর পর্যন্ত পান করানো যায়। অতঃপর মায়ের দুধ ছাড়ানো অবশ্য কর্তব্য। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, পিতা-মাতা শিশুর পক্ষে ভালো মনে করলে দু’বছরের আগেও দুধ ছাড়াতে পারে। দু’ বছর পূর্ণ করা ওয়াজিব নয়। তৃতীয় বিষয় হচ্ছে, দুগ্ধদানকারিণী মায়ের খোরপোষ তার স্বামী তথা শিশুর পিতাকে বহন করতে হবে। বিবাহ কায়েম থাকলে তো বিবাহের কারণেই এটা বহন করা তার উপর ওয়াজিব হয়। আর তালাক হয়ে গেলে ইদ্দতের ভেতর দুধ পান করানো মায়ের উপর ওয়াজিব। এক্ষেত্রেও তার খোরপোষ তালাকদাতা স্বামীকেই বহন করতে হবে। ইদ্দতের পর খোরপোষ না পেলেও দুধ পান করানোর কারণে তালাকপ্রাপ্তা মা পারিশ্রমিক দাবী করতে পারবে।