فِی الدُّنۡیَا وَالۡاٰخِرَۃِ ؕ وَیَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡیَتٰمٰی ؕ قُلۡ اِصۡلَاحٌ لَّہُمۡ خَیۡرٌ ؕ وَاِنۡ تُخَالِطُوۡہُمۡ فَاِخۡوَانُکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ الۡمُفۡسِدَ مِنَ الۡمُصۡلِحِ ؕ وَلَوۡ شَآءَ اللّٰہُ لَاَعۡنَتَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৬২. কুরআন মাজীদ যখন ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করার ব্যাপারে কঠিন সতর্কবাণী শোনাল (সূরা নিসা ৪ : ২, ১০) তখন যে সকল সাহাবীর তত্ত্বাবধানে ইয়াতীম ছিল তারা তাদের ব্যাপারে অত্যধিক সতর্কতা অবলম্বন শুরু করে দিলেন। এমনকি তাঁরা ইয়াতীমদের খাবার পৃথক রান্না করতেন এবং আলাদাভাবেই তাদেরকে খাওয়াতেন। ফলে তাদের কিছু খাবার বেঁচে থাকলে তা নষ্ট হয়ে যেত। এতে যেমন কষ্ট বেশি হত তেমনি ক্ষতিও হত। এ আয়াত স্পষ্ট করে দিল যে, মূল উদ্দেশ্য হল ইয়াতীমদের কল্যাণের প্রতি লক্ষ্য রাখা। অভিভাবকদেরকে জটিলতায় ফেলা উদ্দেশ্য নয়। সুতরাং একত্রে তাদের খাবার রান্না করাতে এবং একত্রে খাওয়ানোতে কোনও অসুবিধা নেই। শর্ত হল, তাদের সম্পদ থেকে ন্যায় ও ইনসাফের সাথে তাদের খাওয়ার খরচ উসূল করতে হবে। যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু কম-বেশি হয়েও যায়, তা ক্ষমাযোগ্য। হাঁ জেনে-শুনে তাদের ক্ষতি করা যাবে না। কে ইনসাফ ও কল্যাণকামিতার পরিচয় দেয় আর কার নিয়ত খারাপ, আল্লাহ তাআলা তা ভালো করেই জানেন।