یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡخَمۡرِ وَالۡمَیۡسِرِ ؕ قُلۡ فِیۡہِمَاۤ اِثۡمٌ کَبِیۡرٌ وَّمَنَافِعُ لِلنَّاسِ ۫ وَاِثۡمُہُمَاۤ اَکۡبَرُ مِنۡ نَّفۡعِہِمَا ؕ وَیَسۡـَٔلُوۡنَکَ مَاذَا یُنۡفِقُوۡنَ ۬ؕ قُلِ الۡعَفۡوَ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَتَفَکَّرُوۡنَ ۙ
মুফতী তাকী উসমানী
(অপর দিকে) যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে, তারা নিঃসন্দেহে আল্লাহর রহমতের আশাবাদী। আর আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।লোকে আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, এ দু’টোর মধ্যে মহা পাপও রয়েছে এবং মানুষের জন্য কিছু উপকারও আছে। আর এ দু’টোর পাপ তার উপকার অপেক্ষা গুরুতর। ১৬০ লোকে আপনাকে জিজ্ঞেস করে, (আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে) তারা কী ব্যয় করবে? আপনি বলে দিন, যা (তোমাদের প্রয়োজনের) অতিরিক্ত। ১৬১ আল্লাহ এভাবেই তোমাদের জন্য স্বীয় বিধানাবলী সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা-ভাবনা করতে পার
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৬০. কোনও কোনও সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে যে, তারা দান-সদকার সওয়াব শুনে নিজেদের সমুদয় পুঁজি সদকা করে দেন। এমনকি নিজের ও পরিবারবর্গের জন্য কিছুই অবশিষ্ট রাখেননি। ফলে ঘরের লোকজন অভুক্ত দিন কাটায়। এ আয়াত জানিয়ে দিয়েছে যে, দান-খয়রাত সেটাই সঠিক, যা নিজের ও পরিবারবর্গের জরুরত পূর্ণ করার পর করা হবে। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন হাদীসে গুরুত্বের সাথে ইরশাদ করেন যে, দান-সদকা এ পরিমাণ হওয়া চাই, যাতে ঘরের লোকজন অন্যের মুখাপেক্ষী না হয়ে পড়ে।