یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الشَّہۡرِ الۡحَرَامِ قِتَالٍ فِیۡہِ ؕ قُلۡ قِتَالٌ فِیۡہِ کَبِیۡرٌ ؕ وَصَدٌّ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَکُفۡرٌۢ بِہٖ وَالۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ٭ وَاِخۡرَاجُ اَہۡلِہٖ مِنۡہُ اَکۡبَرُ عِنۡدَ اللّٰہِ ۚ وَالۡفِتۡنَۃُ اَکۡبَرُ مِنَ الۡقَتۡلِ ؕ وَلَا یَزَالُوۡنَ یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ حَتّٰی یَرُدُّوۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِکُمۡ اِنِ اسۡتَطَاعُوۡا ؕ وَمَنۡ یَّرۡتَدِدۡ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِہٖ فَیَمُتۡ وَہُوَ کَافِرٌ فَاُولٰٓئِکَ حَبِطَتۡ اَعۡمَالُہُمۡ فِی الدُّنۡیَا وَالۡاٰخِرَۃِ ۚ وَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ
উচ্চারণ
ইয়াছআলূনাকা আনিশশাহরিল হারা-মি কিতা-লিন ফীহি কুল কিতা-লুন ফীহি কাবীরুওঁ ওয়াসাদ্দুন ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়া কুফরুম বিহী ওয়াল মাছজিদিল হারা-মি ওয়া ইখরা-জুআহলিহী মিনহু আকবারু ‘ইনদাল্লা-হি ওয়াল ফিতনাতুআকবারু মিনাল কাতলি ওয়া লা-ইঝা-লূনা ইউকা-তিলূনাকুম হাত্তা-ইয়ারুদ্দূকুম ‘আন দীনিকুম ইনিছতাতা‘ঊ ওয়া মাইঁ ইয়ারতাদিদ মিনকুম ‘আন দীনিহী ফাইয়ামুত ওয়া হুওয়া কা-ফিরুন ফউলাইকা হাবিতাত আ‘মা-লুহুম ফিদ্দুনইয়া-ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া উলাইকা আসহা-বুন্নারি হুম ফীহা-খা-লিদুন।
মুফতী তাকী উসমানী
লোকে আপনাকে মর্যাদাপূর্ণ মাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? ১৫৯ আপনি বলে দিন, তাতে যুদ্ধ করা মহাপাপ, কিন্তু (মানুষকে) আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখা, তার বিরুদ্ধে কুফুরী পন্থা অবলম্বন করা, মসজিদুল হারামে প্রবেশে বাধা দেওয়া এবং তার বাসিন্দাদেরকে তা থেকে বের করে দেওয়া আল্লাহর নিকট আরও বড় পাপ। আর ফিতনা তো হত্যা অপেক্ষাও গুরুতর। তারা (কাফিরগণ) ক্রমাগত তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকবে, এমনকি পারলে তারা তোমাদেরকে তোমাদের দীন থেকে ফেরাতে চেষ্টা করবে। যদি তোমাদের মধ্যে কেউ নিজ দীন পরিত্যাগ করে, তারপর কাফির অবস্থায় মারা যায়, তবে এরূপ লোকের কর্ম দুনিয়া ও আখিরাতে বৃথা যাবে। তারাই জাহান্নামী। তারা সেখানেই সর্বদা থাকবে।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৫৯. সূরা তাওবায় ( ৯ : ৩৬) চারটি মাসকে ‘আশহুরে হুরুম’ তথা মর্যাদাপূর্ণ মাস বলা হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ব্যাখ্যা করে বলেন, এ চার মাস হচ্ছে রজব, যু-কা‘দা, যুল-হিজ্জা ও মুহাররম। এসব মাসে যুদ্ধ করা নিষেধ। অবশ্য কোনও শত্রু যদি এ সময় হামলা করে বসে, তবে আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আছে। একবার এক সফরে একদল মুশরিকের সঙ্গে কতিপয় সাহাবীর সংঘর্ষ লেগে যায়। তাতে আমর ইবনুল হায্রামী নামক এক মুশরিক মুসলিমদের হাতে নিহত হয়। এ ঘটনাটি ঘটেছিল ২৯ জুমাদাল উখরার সন্ধ্যাকালে। কিন্তু সেই ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর পরই রজবের চাঁদ উঠে যায়। কিন্তু এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুশরিকগণ মুসলিমদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেয়। তারা বলতে থাকে যে, মুসলিমগণ মর্যাদাপূর্ণ মাসেরও কোনও পরওয়া করে না। তাদের সে প্রোপাগান্ডার পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচ্য আয়াত নাযিল হয়। আয়াতে যা বলা হয়েছে তার সারমর্ম এই যে, এক তো আমর ইবনুল হায্রামী নিহত হয়েছে একটি ভুল বোঝাবুঝির ভিত্তিতে। জেনেশুনে মর্যাদাপূর্ণ মাসে তাকে হত্যা করা হয়নি, অথচ যারা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছে তারা তো এর চেয়ে আরও কত কঠিন অপরাধ করে বসে আছে। তারা মানুষকে মসজিদুল হারামে প্রবেশে বাধা দেয় শুধু তাই নয়; বরং যারা সত্যিকার অর্থে মসজিদুল হারামে ইবাদত করার উপযুক্ত, তাদের প্রতি জুলুম-নির্যাতন করে তাদের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে, ফলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তদুপরি তারা আল্লাহ তাআলার সঙ্গে কুফরের নীতি অবলম্বন করেছে।