کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الۡقِتَالُ وَہُوَ کُرۡہٌ لَّکُمۡ ۚ وَعَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَہُوۡا شَیۡئًا وَّہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ۚ وَعَسٰۤی اَنۡ تُحِبُّوۡا شَیۡئًا وَّہُوَ شَرٌّ لَّکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ وَاَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৫৮. কি চমৎকার নির্দেশনা! চিন্তা-চেতনায় এ শিক্ষা জাগরুক রাখলে জীবন বড় শান্তিময় হতে পারে। অনেক সময়ই মানুষ কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করে ও তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, কিন্তু কোন কারণে যদি তা ব্যর্থ হয়, মন খারাপ করে ও হতাশ হয়ে বসে পড়ে। আবার অনেক সময় কোন একটা বিষয় তার কাছে অপ্রীতিকর মনে হয় এবং তা থেকে বাঁচার জন্য সবরকম চেষ্টা করে, কিন্তু বাস্তবে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং শেষ পর্যন্ত বিষয়টির সম্মুখীন তাকে হতেই হয়। তখনও সে ভেঙ্গে পড়ে। আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, তোমার প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণ কিসে তা তুমি জান না, আল্লাহ তাআলা জানেন। তুমি যা কামনা করছ বাস্তবে তা তোমার জন্য দুঃখজনকও হতে পারে, আর যা অপছন্দ করছ তা হতে পারে প্রভূত সুফলবাহী। কাজেই এর ফয়সালা আল্লাহ তাআলারই উপর ছেড়ে দাও। সর্বান্তকরণে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চল এবং নিয়তি অনুযায়ী যা ঘটে তাতে খুশি থাক। অনেক সময়ই বাস্তব কল্যাণ তোমার দৃষ্টির আড়ালে থাকে বলে তুমি বুঝতে পার না। তা না-ই বোঝ, হাসিল হওয়াটাই বড় কথা। অন্ততপক্ষে এই সান্তনা তো লাভ করতেই পার যে, তোমার কাঙ্খিত জিনিস না পাওয়া আর অনাকাঙ্খিত বিষয় দেখা দেওয়ার ফলে তুমি যে সবর করবে, আখিরাতে সে জন্য মহাপুরস্কার আছেই। সুতরাং জিহাদসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এ মূলমন্ত্র মাথায় রেখ। (-অনুবাদক)