আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ২১১

তাফসীর
سَلۡ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ کَمۡ اٰتَیۡنٰہُمۡ مِّنۡ اٰیَۃٍۭ بَیِّنَۃٍ ؕ وَمَنۡ یُّبَدِّلۡ نِعۡمَۃَ اللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡہُ فَاِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ

উচ্চারণ

ছাল বানীইছরাঈলা কাম আ-তাইনা-হুম মিন আ-য়াতিম বাইয়িনাতিওঁ ওয়া মাইঁ ইউবাদ্দিল নি‘মাতাল্লা-হি মিম বা‘দি মা-জাআতহু ফাইন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

বনী ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস কর, তাদেরকে আমি কত সুস্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম। যে ব্যক্তি তার নিকট আল্লাহর নিয়ামত এসে যাওয়ার পর তা পরিবর্তন করে ফেলে, (তার মনে রাখা উচিত যে,) আল্লাহর শাস্তি বড় কঠিন। ১৫৬

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৫৬. আল্লাহর ‘নি‘আমত বলতে তাঁর নিদর্শনাবলী বোঝানো হয়েছে। বস্তুত তা আল্লাহ তা‘আলার অতি বড় নি‘আমত, যেহেতু তা গোমরাহী থেকে মুক্তি ও হিদায়াতের কারণ। বনী ইসরাঈল তা পরিবর্তন করেছিল এভাবে যে, আল্লাহ তা‘আলা তো তা প্রকাশ করেছিলেন তাদের হিদায়াতের কারণ হিসেবে, কিন্তু তারা তাকে নিজেদের পথভ্রষ্টতার ‘কারণ’ বানিয়ে ফেলে। অথবা এর অর্থ, তাদের কিতাবে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর দীনের সত্যতা সম্পর্কে যেসব আয়াত ছিল, তা তারা পরিবর্তন ও বিকৃত করে ফেলেছিল। তাছাড়া নি’আমতের পরিবর্তন বলতে নি‘আমতের অকৃতজ্ঞতাকেও বোঝায়। ইয়াহুদীরা পদে-পদেই আল্লাহপ্রদত্ত নি‘আমতের অকৃতজ্ঞতা করত, যেমনটা এ সূরার বিভিন্ন স্থানে বিবৃত হয়েছে, সামনেও বিভিন্ন সূরায় আসবে। (কাশশাফ) -অনুবাদক
﴾﴿
সূরা আল বাকারা, আয়াত ২১৮