আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ২১০

তাফসীর
ہَلۡ یَنۡظُرُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّاۡتِیَہُمُ اللّٰہُ فِیۡ ظُلَلٍ مِّنَ الۡغَمَامِ وَالۡمَلٰٓئِکَۃُ وَقُضِیَ الۡاَمۡرُ ؕ  وَاِلَی اللّٰہِ تُرۡجَعُ الۡاُمُوۡرُ ٪

উচ্চারণ

হাল ইয়ানজুরূনা ইল্লা-আইঁয়া’তিয়াহুমুল্লা-হু ফী জুলালিম মিনাল গামা-মি ওয়ালমালাইকাতু ওয়া কুদিয়াল আমরু ওয়া ইলাল্লা-হি তুর জা‘উল উমূর।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তারা (কাফিরগণ ঈমান আনার জন্য) কি এছাড়া আর কোনও জিনিসের অপেক্ষা করছে যে, আল্লাহ স্বয়ং মেঘের চাঁদোয়ায় তাদের সামনে এসে উপস্থিত হবেন এবং ফিরিশতাগণও (তাঁর সাথে থাকবে), আর সকল বিষয়ে মীমাংসা করে দেওয়া হবে? ১৫৫ অথচ সকল বিষয় শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৫৫. বিভিন্ন কাফির বিশেষত মদীনার ইয়াহুদীগণ এ ধরনের দাবী-দাওয়া পেশ করত যে, আল্লাহ তাআলা নিজে আমাদের দৃষ্টির সামনে এসে আমাদেরকে সরাসরি কেন ঈমান আনার হুকুম দিচ্ছেন না? এ আয়াত তার জবাব দিচ্ছে। জবাবের সারমর্ম এই যে, দুনিয়া মূলত পরীক্ষার জায়গা। এখানে পরীক্ষা নেওয়া হয় যে, মানুষ নিজ বুদ্ধি-বিবেচনা কাজে লাগিয়ে এবং বিশ্ব জগতে ছড়িয়ে থাকা সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলীর আলোকে আল্লাহ তাআলার তাওহীদ ও রাসূলগণের রিসালাতের প্রতি ঈমান আনে কি না। এ কারণেই এ পরীক্ষায় প্রকৃত মূল্য গায়বে ঈমানের। আল্লাহ তাআলাকে যদি সরাসরি দেখা যায়, তবে পরীক্ষা হল কোথায়? আল্লাহ তাআলার নীতি হচ্ছে গায়বের জিনিসমমূহ যদি মানুষ চাক্ষুষ দেখে ফেলে, তখন আর তার ঈমান গ্রহণযোগ্য হয় না। এ কারণেই গায়বী জিনিসসমূহ প্রত্যক্ষ করানো হয় না। তবে যখন এ জগতকে খতম করে শাস্তি ও পুরস্কার দানের সময় এসে যাবে, তখন কোনও কোনও গায়বী জিনিস চাক্ষুষ দেখানো হবে। আয়াতে ‘মীমাংসা করে দেওয়া’এর দ্বারা এটাই বোঝানো হয়েছে।
﴾﴿