আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ২০০

তাফসীর
فَاِذَا قَضَیۡتُمۡ مَّنَاسِکَکُمۡ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ کَذِکۡرِکُمۡ اٰبَآءَکُمۡ اَوۡ اَشَدَّ ذِکۡرًا ؕ فَمِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّقُوۡلُ رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا وَمَا لَہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنۡ خَلَاقٍ

উচ্চারণ

ফাইযা-কাদাইতুম মানা-ছিকাকুম ফাযকুরুল্লা-হা কাযিকরিকুম আ-বাআকুম আও আশাদ্দা যিকরান ফামিনান্না-ছি মাইঁ ইয়াকূলু রাব্বানাআ-তিনা-ফিদ্দুনইয়া-ওয়ামা-লাহু ফিল আ-খিরাতি মিন খালা-ক।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তোমরা যখন হজ্জের কার্যাবলী শেষ করবে, তখন আল্লাহকে সেইভাবে স্মরণ করবে, যেভাবে নিজেদের বাপ-দাদাকে স্মরণ করে থাক; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করবে। ১৪৮ কিছু লোক তো এমন আছে, যারা (দু‘আয় কেবল) বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ দান কর, আর আখিরাতে তাদের কোনও অংশ নেই।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৪৮. জাহিলী যুগের আরও একটি রেওয়াজ ছিল হজ্জের মৌলিক কার্যাবলী শেষ করার পর যখন তারা মিনায় একত্র হত, তখন কিছু লোক সম্পূর্ণ একটা দিন নিজেদের বাপ-দাদার প্রশংসা ও গৌরবগাঁথা বর্ণনা করে কাটিয়ে দিত। এ আয়াতে তাদের সেই রসমের প্রতিই ইশারা করা হয়েছে। আবার কিছু লোক দু‘আ তো করত, কিন্তু তারা যেহেতু আখিরাতে বিশ্বাস করত না তাই তাদের দু‘আ কেবল দুনিয়ার কল্যাণ প্রার্থনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত। পরবর্তী বাক্যে জানানো হয়েছে যে, একজন মুমিনের কর্তব্য, দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানের মঙ্গল কামনা করা।
﴾﴿