আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ১৯৮

তাফসীর
لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّکُمۡ ؕ فَاِذَاۤ اَفَضۡتُمۡ مِّنۡ عَرَفٰتٍ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ عِنۡدَ الۡمَشۡعَرِ الۡحَرَامِ ۪ وَاذۡکُرُوۡہُ کَمَا ہَدٰىکُمۡ ۚ وَاِنۡ کُنۡتُمۡ مِّنۡ قَبۡلِہٖ لَمِنَ الضَّآلِّیۡنَ

উচ্চারণ

লাইছা ‘আলাইকুম জুনা-হুন আন তাবতাগূ ফাদলাম মিররাব্বিকুম ফাইযাআফাদতুম মিন ‘আরাফা-তিন ফাযকুরুল্লা-হা ‘ইনদাল মাশ‘আরিল হারা-মি ওয়াযকুরুহু কা-মাহাদা-কুম ওয়া ইন কুনতুম মিন কাবলিহী লামিনাদ্দাল্লীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তোমরা (হজ্জের সময়ে ব্যবসা বা মজুর খাটার মাধ্যমে) স্বীয় প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করলে তাতে তোমাদের কোনও গুনাহ নেই। ১৪৫ অতঃপর তোমরা যখন আরাফাত থেকে রওয়ানা হবে, তখন মাশআরুল হারামের নিকট (যা মুযদালিফায় অবস্থিত) আল্লাহর যিকির করো। আর তার যিকির তোমরা সেভাবেই করবে, যেভাবে তিনি তোমাদেরকে হিদায়াত করেছেন, ১৪৬ আর এর আগে তোমরা বিলকুল অজ্ঞ ছিলে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৪৫. হজ্জের সময় আরাফাত থেকে এসে মুযদালিফায় রাত কাটাতে হয় এবং সূর্যোদয়ের আগে ভোরে সেখানে উকূফ (অবস্থান) করতে হয়। তখন আল্লাহ তাআলার যিকির করা হয় ও তাঁর কাছে দু‘আ করা হয়। জাহিলী যুগেও আরবগণ আল্লাহর যিকির করত, কিন্তু তার সাথে নিজেদের দেব-দেবীদের যিকিরও যুক্ত করত। এ আয়াতে বলা হচ্ছে যে, মুমিনের যিকির কেবল আল্লাহ তাআলার জন্যই হওয়া চাই, যেমন আল্লাহ তাআলা নির্দেশ ও হিদায়াত করেছেন।
﴾﴿