আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ১৯৭

তাফসীর
اَلۡحَجُّ اَشۡہُرٌ مَّعۡلُوۡمٰتٌ ۚ فَمَنۡ فَرَضَ فِیۡہِنَّ الۡحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوۡقَ ۙ وَلَا جِدَالَ فِی الۡحَجِّ ؕ وَمَا تَفۡعَلُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ یَّعۡلَمۡہُ اللّٰہُ ؕؔ وَتَزَوَّدُوۡا فَاِنَّ خَیۡرَ الزَّادِ التَّقۡوٰی ۫ وَاتَّقُوۡنِ یٰۤاُولِی الۡاَلۡبَابِ

উচ্চারণ

আলহাজ্জু আশহুরুম মা‘লূমা-তুন ফামান ফারাদাফীহিন্নাল হাজ্জা ফালা-রাফাছা ওয়ালা-ফুছূকা ওয়ালা-জিদা-লা ফিল হাজ্জি ওয়ামা-তাফ‘আলূ মিন খাইরিইঁ ইয়া‘লাম হুল্লা-হু ওয়া তাঝাওওয়াদূ ফাইন্না খাইরাঝঝা-দিত্তাকওয়া-ওয়াত্তাকূনি ইয়া ঊলিল আলবা-ব।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

হজ্জের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস আছে। যে ব্যক্তি সেসব মাসে (ইহরাম বেঁধে) নিজের উপর হজ্জ অবধারিত করে নেয়, সে হজ্জের সময়ে কোন অশ্লীল কথা বলবে না, কোন গুনাহ করবে না এবং ঝগড়াও নয়। তোমরা যা-কিছু সৎকর্ম করবে আল্লাহ তা জানেন। আর (হজ্জের সফরে) পথ খরচা সাথে নিয়ে নিয়ো। বস্তুত তাকওয়াই উৎকৃষ্ট অবলম্বন। ১৪৪ আর হে বুদ্ধিমানেরা! তোমরা আমাকে ভয় করে চলো।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৪৪. কোনও কোনও লোক হজ্জে রওয়ানা হওয়ার সময় সাথে পথ খরচা রাখত না। তারা বলত, আমরা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে হজ্জ করব। কিন্তু পথে যখন খাওয়ার দরকার পড়ত, তখন অনেক সময় মানুষের কাছে হাত পাততে বাধ্য হয়ে যেত। এ আয়াত বলছে, তাওয়াক্কুলের অর্থ এ নয় যে, মানুষ হাত-পা ছেড়ে দিয়ে বসে থাকবে; বরং উপায় অবলম্বন করাই শরীয়তের শিক্ষা। আর সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট পাথেয় হল তাকওয়া অর্থাৎ এমন পাথেয় যার মাধ্যমে মানুষ অন্যের সামনে হাত পাতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
﴾﴿