আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ১৮০

তাফসীর
کُتِبَ عَلَیۡکُمۡ اِذَا حَضَرَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ اِنۡ تَرَکَ خَیۡرَۨا ۚۖ  الۡوَصِیَّۃُ لِلۡوَالِدَیۡنِ وَالۡاَقۡرَبِیۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ۚ  حَقًّا عَلَی الۡمُتَّقِیۡنَ ؕ

উচ্চারণ

কুতিবা ‘আলাইকুম ইযা-হাদারা আহাদাকুমুল মাওতু ইন তারাকা খাইরানিল ওয়াসিইইয়াতু লিলওয়া-লিদাইনি ওয়াল আকরাবীনা বিলমা‘রূফি হাক্কান ‘আলাল মুত্তাকীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তোমাদের উপর ফরয করা হয়েছে যে, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অর্থ-সম্পদ রেখে যায়, তবে যখন তার মৃত্যুক্ষণ উপস্থিত হবে, তখন নিজ পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পক্ষে ন্যায়সঙ্গতভাবে ওসিয়ত করবে। ১২৬ এটা মুত্তাকীদের অবশ্য কর্তব্য।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১২৬. মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদে যখন ওয়ারিশদের অংশ নির্দিষ্ট ছিল না, সেই সময় এ আয়াত নাযিল হয়। তখন মায়্যিতের পুত্রই সমুদয় সম্পদ লাভ করত। এ আয়াতে বিধান দেওয়া হয়েছে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার মৃত্যুকালে পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পক্ষে ওসিয়ত করে যেতে হবে এবং স্পষ্ট করে দিতে হবে, তার সম্পদে কে কতটুকু অংশ পাবে। পরবর্তীতে সূরা নিসায় (৪ : ১১-৪১) ওয়ারিশগণের তালিকা ও তাদের প্রাপ্য অংশ স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তারপর আর এ আয়াতে যে ওসিয়তের কথা বলা হয়েছে তা ফরয থাকেনি। অবশ্য কারও যদি কোনও রকমের দেনা থাকে, তবে এখনও সে সম্পর্কে ওসিয়ত করে যাওয়া ফরয। তাছাড়া যে সকল লোক শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ওয়ারিশ হয় না, তাদের অনুকূলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের ভেতর ওসিয়ত করা এখনও জায়েয আছে।
সূরা আল বাকারা, আয়াত ১৮৭ | মুসলিম বাংলা