আল বাকারা

সূরা নং: ২, আয়াত নং: ১৪০

তাফসীর
اَمۡ تَقُوۡلُوۡنَ اِنَّ اِبۡرٰہٖمَ وَاِسۡمٰعِیۡلَ وَاِسۡحٰقَ وَیَعۡقُوۡبَ وَالۡاَسۡبَاطَ کَانُوۡا ہُوۡدًا اَوۡ نَصٰرٰی ؕ قُلۡ ءَاَنۡتُمۡ اَعۡلَمُ اَمِ اللّٰہُ ؕ وَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنۡ کَتَمَ شَہَادَۃً عِنۡدَہٗ مِنَ اللّٰہِ ؕ وَمَا اللّٰہُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ

উচ্চারণ

আম তাকূলূনা ইন্না ইবরা-হীমা ওয়াইছমা-‘ঈলা ওয়াইছহা-কাওয়া ইয়া‘কূবা ওয়াল আছবা-তা কা-নূ হূদান আও নাসা-রা-কুল আআনতুম ‘আলামুআমিল্লা-হু ওয়ামান আজলামু মিম্মান কাতামা শাহা-দাতান ‘ইনদাহূ মিনাল্লা-হি ওয়ামাল্লা-হু বিগা-ফিলিন ‘আম্মা-তা‘মালূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তোমরা কি বল, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তাঁদের বংশধরগণ ইয়াহুদী বা নাসারা ছিল? (হে মুসলিমগণ! তাদেরকে) বলে দাও, তোমরাই কি বেশি জান, না আল্লাহ? আর সেই ব্যক্তি অপেক্ষা বড় জালেম আর কে হতে পারে, যে তার নিকট আল্লাহ হতে যে সাক্ষ্য পৌঁছেছে তা গোপন করে? ৯৭ তোমরা যা-কিছু কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ গাফেল নন।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৯৭. অর্থাৎ এই বাস্তবতা মূলত তারাও জানে যে, এ সকল নবী খালেস তাওহীদের শিক্ষা দিতেন এবং তাদের ভিত্তিহীন আকীদা-বিশ্বাসের সঙ্গে এ পুণ্যাত্মাদের কোনও সম্পর্ক ছিল না। খোদ তাদের কিতাবেই এ সত্য সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ আছে। তাতে শেষনবী সম্পর্কিত সুসংবাদও লেখা রয়েছে, যা আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তাদের নিকট আগত সাক্ষ্যের মর্যাদা রাখে, কিন্তু এ জালিমগণ তা গোপন করে রেখেছে।
﴾﴿