قُلۡ اَتُحَآجُّوۡنَنَا فِی اللّٰہِ وَہُوَ رَبُّنَا وَرَبُّکُمۡ ۚ وَلَنَاۤ اَعۡمَالُنَا وَلَکُمۡ اَعۡمَالُکُمۡ ۚ وَنَحۡنُ لَہٗ مُخۡلِصُوۡنَ ۙ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৯৬. অর্থাৎ তোমরা কি এই দাবিতে আল্লাহ সম্পর্কে আমাদের সাথে বিবাদ করছ যে, তোমরা তাঁর সন্তান ও প্রিয়পাত্র, কাজেই তাঁর নবী কেবল তোমাদের মধ্যেই পাঠানোর কথা অন্যদের মধ্যে নয়, তার রহমত লাভের উপযুক্ত কেবল তোমরাই অন্য কেউ নয় এবং জান্নাতেও যাবে কেবল তোমরা অন্য কেউ নয়? প্রকৃত পক্ষে এটা তোমাদের অবান্তর দাবি ও অযৌক্তিক তর্ক। কেননা তিনি আমাদেরও রব, তোমাদেরও রব। তাঁর বান্দা হিসেবে আমরা সকলেই সমান। বান্দা হিসেবে আমাদের উপর তোমাদের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই, যে কারণে এসব মর্যাদা কেবল তোমরাই লাভ করবে। বরং এ বিষয়টা কেবলই তাঁর এখতিয়ারাধীন। তিনি যে কাউকেই বিশেষ কোন সম্মান দিতে পারেন। হ্যাঁ তাঁর নীতি হল বান্দার কর্ম অনুযায়ী সম্মান ও মর্যাদা দান করা। সুতরাং তোমাদেরকে মর্যাদা দান করা না করার ব্যাপারে যেমন তোমাদের কর্ম বিবেচ্য হবে, তেমনি আমাদের ক্ষেত্রেও একই রকম বিবেচনা করা হবে। প্রত্যেকে আপন-আপন কর্মের ফল ভোগ করবে। তোমরা নিজেরাই চিন্তা কর তোমরা কেমন আমল করছ। তওহীদের বিষয়টাই দেখ, নবীগণ আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক না করার শিক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও তোমরা উভয় সম্প্রদায় শিরকে লিপ্ত হয়ে পড়েছ, কিন্তু আমাদেরকে দেখ, আলহামদুলিল্লাহ আমরা আমাদের আকীদা-বিশ্বাসেও সর্বপ্রকার শিরককে পরিহার করে চলছি এবং আমাদের সমস্ত আমলও খালেস আল্লাহরই জন্য করছি। আমরা তাঁর সাথে কাউকে শরীক করছি না। এতদসত্ত্বেও এটা কেমন কথা যে, তাঁর রহমত লাভের অধিকার তোমাদেরই জন্য সংরক্ষিত। আর আমরা তা থেকে বঞ্চিত থাকব? -অনুবাদক