আল কাহ্‌ফ

সূরা নং: ১৮, আয়াত নং: ৮৩

তাফসীর
وَیَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنۡ ذِی الۡقَرۡنَیۡنِ ؕ  قُلۡ سَاَتۡلُوۡا عَلَیۡکُمۡ مِّنۡہُ ذِکۡرًا ؕ

উচ্চারণ

ওয়া ইয়াছআলূনাকা আন যিল কারনাইনি কুল ছাআতলূ‘আলাইকুম মিনহু যিকরা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তারা তোমাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। ৪৭ বলে দাও, ‘আমি তার কিছুটা বৃত্তান্ত তোমাদেরকে পড়ে শোনাচ্ছি।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৪৭. সূরাটির পরিচিতিতে বলা হয়েছে, মুশরিকগণ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি প্রশ্ন করেছিল। একটি প্রশ্ন ছিল, এক ব্যক্তি পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সারা পৃথিবী ভ্রমণ করেছিল। কে সেই ব্যক্তি এবং কী তার বৃত্তান্ত? এবার তাদের এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হচ্ছে। কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে, সেই ব্যক্তি নাম ছিল ‘যুলকারনাইন’। ‘যুলকারনাইন’-এর শাব্দিক অর্থ দুই শিং-বিশিষ্ট। এটা এক বাদশাহর উপাধি। এ উপাধির কারণ অজ্ঞাত। কুরআন মাজীদে এ বাদশাহর পরিচয় এবং তার শাসনকাল সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। তবে আমাদের সমকালীন ঐতিহাসিক ও গবেষকদের অধিকাংশেই মনে করেন, ইনি ছিলেন ইরানের সম্রাট ‘সাইরাস’ [কায়খুসরূ. মৃ. খৃ, পূ. ৫৩৯] যিনি বনী ইসরাঈলকে বাবিলের নির্বাসিত জীবন থেকে মুক্তি দিয়ে পুনরায় ফিলিস্তিনে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কুরআন মাজীদ কেবল তার তিনটি দীর্ঘ সফরের কথা উল্লেখ করেছে। প্রথম সফর ছিল পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত। দ্বিতীয় সফর ছিল পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত আর তৃতীয়টি উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত, যেখানে তিনি ইয়াজুজ-মাজুজের বর্বরোচিত হামলা থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন।
﴾﴿
সূরা আল কাহ্‌ফ, আয়াত ২২২৩