বনী-ইসরাঈল

সূরা নং: ১৭, আয়াত নং: ৬০

তাফসীর
وَاِذۡ قُلۡنَا لَکَ اِنَّ رَبَّکَ اَحَاطَ بِالنَّاسِ ؕ  وَمَا جَعَلۡنَا الرُّءۡیَا الَّتِیۡۤ اَرَیۡنٰکَ اِلَّا فِتۡنَۃً لِّلنَّاسِ وَالشَّجَرَۃَ الۡمَلۡعُوۡنَۃَ فِی الۡقُرۡاٰنِ ؕ  وَنُخَوِّفُہُمۡ ۙ  فَمَا یَزِیۡدُہُمۡ اِلَّا طُغۡیَانًا کَبِیۡرًا ٪

উচ্চারণ

ওয়া ইযকুলনা-লাকা ইন্না রাব্বাকা আহা-তা বিন্না-ছি ওয়ামা-জা‘আলনার রু’ইয়াল্লাতীআরাইনা-কা ইল্লা-ফিতনাতাললিন্না-ছি ওয়াশশাজারাতাল মাল‘ঊনাতা ফিল কুরআ-নি ওয়ানুখাওবিফুহুম ফামা-ইয়াঝীদুহুম ইল্লা-তুগইয়া-নান কাবীরা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(হে নবী!) সেই সময়কে স্মরণ কর, যখন আমি বলেছিলাম, তোমার প্রতিপালক (নিজ জ্ঞান দ্বারা) সমস্ত মানুষকে পরিবেষ্টন করে আছেন। ৩৯ আর আমি তোমাকে যে দৃশ্য দেখিয়েছি, তাকে কাফেরদের জন্য কেবল পরীক্ষার বিষয়ই বানিয়েছি ৪০ এবং কুরআনে বর্ণিত অভিশপ্ত বৃক্ষটিকেও। আমি তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছি, কিন্তু তাতে তাদের ঘোর অবাধ্যতাই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩৯. অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি ভালোভাবেই জানেন এসব হঠকারী লোক কোন অবস্থাতেই ঈমান আনবে না। অতঃপর তাদের হঠকারিতার দু’টি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। (এক) আল্লাহ তাআলা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিরাজের সফরে যেসব দৃশ্য দেখিয়েছিলেন, তা ছিল তাঁর নবুওয়াতের খোলা দলীল। কাফেরগণ বায়তুল মুকাদ্দাস সম্পর্কে বহু প্রশ্ন তাঁকে করেছিল। তিনি সবগুলোর ঠিক-ঠিক উত্তরও দিয়েছিলেন, যা দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তিনি সত্যিই রাতের ভেতর এ সফর করে এসেছেন। কিন্তু এ রকম সাক্ষাত প্রমাণ লাভের পরও তারা ঈমান আনেনি; বরং নিজেদের জিদকেই ধরে রাখে। (দুই) কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে, জাহান্নামীদের খাবার হবে ‘যাক্কূম’ গাছ। আরও বলা হয়েছে, এ গাছ জাহান্নামেই জন্মায়। একথা শুনে কাফেরগণ ঈমান আনবে কি উল্টো ঠাট্টা করতে লাগল যে, শোন কথা, আগুনের ভেতর নাকি গাছ জন্মাবে! এটাও কী সম্ভব? তারা চিন্তা করল না যেই সত্তা আগুন সৃষ্টি করেছেন, তিনি যদি সেই আগুনের ভেতর অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের কোন গাছ সৃষ্টি করে দেন, আগুনের তাপ যার জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং উপযোগী, তাতে আশ্চর্যের কী আছে?
﴾﴿
সূরা বনী-ইসরাঈল, আয়াত ২০৮৯ | মুসলিম বাংলা