وَاِذۡ قُلۡنَا لَکَ اِنَّ رَبَّکَ اَحَاطَ بِالنَّاسِ ؕ وَمَا جَعَلۡنَا الرُّءۡیَا الَّتِیۡۤ اَرَیۡنٰکَ اِلَّا فِتۡنَۃً لِّلنَّاسِ وَالشَّجَرَۃَ الۡمَلۡعُوۡنَۃَ فِی الۡقُرۡاٰنِ ؕ وَنُخَوِّفُہُمۡ ۙ فَمَا یَزِیۡدُہُمۡ اِلَّا طُغۡیَانًا کَبِیۡرًا ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩৯. অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি ভালোভাবেই জানেন এসব হঠকারী লোক কোন অবস্থাতেই ঈমান আনবে না। অতঃপর তাদের হঠকারিতার দু’টি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। (এক) আল্লাহ তাআলা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিরাজের সফরে যেসব দৃশ্য দেখিয়েছিলেন, তা ছিল তাঁর নবুওয়াতের খোলা দলীল। কাফেরগণ বায়তুল মুকাদ্দাস সম্পর্কে বহু প্রশ্ন তাঁকে করেছিল। তিনি সবগুলোর ঠিক-ঠিক উত্তরও দিয়েছিলেন, যা দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তিনি সত্যিই রাতের ভেতর এ সফর করে এসেছেন। কিন্তু এ রকম সাক্ষাত প্রমাণ লাভের পরও তারা ঈমান আনেনি; বরং নিজেদের জিদকেই ধরে রাখে। (দুই) কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে, জাহান্নামীদের খাবার হবে ‘যাক্কূম’ গাছ। আরও বলা হয়েছে, এ গাছ জাহান্নামেই জন্মায়। একথা শুনে কাফেরগণ ঈমান আনবে কি উল্টো ঠাট্টা করতে লাগল যে, শোন কথা, আগুনের ভেতর নাকি গাছ জন্মাবে! এটাও কী সম্ভব? তারা চিন্তা করল না যেই সত্তা আগুন সৃষ্টি করেছেন, তিনি যদি সেই আগুনের ভেতর অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের কোন গাছ সৃষ্টি করে দেন, আগুনের তাপ যার জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং উপযোগী, তাতে আশ্চর্যের কী আছে?