বনী-ইসরাঈল

সূরা নং: ১৭, আয়াত নং: ৫৯

তাফসীর
وَمَا مَنَعَنَاۤ اَنۡ نُّرۡسِلَ بِالۡاٰیٰتِ اِلَّاۤ اَنۡ کَذَّبَ بِہَا الۡاَوَّلُوۡنَ ؕ وَاٰتَیۡنَا ثَمُوۡدَ النَّاقَۃَ مُبۡصِرَۃً فَظَلَمُوۡا بِہَا ؕ وَمَا نُرۡسِلُ بِالۡاٰیٰتِ اِلَّا تَخۡوِیۡفًا

উচ্চারণ

ওয়ামা মানা‘আনাআননুরছিলা বিলআ-য়া-তি ইল্লাআন কাযযাবা বিহাল আওওয়ালূনা ওয়া আ-তাইনা-ছামূদান না-কাতা মুবসিরাতান ফাজালামূবিহা- ওয়ামা- নুরছিলুবিল আয়া-তি ইল্লা- তাখবীফা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(কাফেরদের ফরমায়েশী নিদর্শন) পাঠানো হতে আমাকে কেবল এ বিষয়টাই বিরত রেখেছে যে, পূর্ববর্তীগণ এরূপ নিদর্শন (দেখার পরও তা) অস্বীকার করেছিল। ৩৮ আমি ছামুদ জাতিকে উষ্ট্রী দিয়েছিলাম, যা চোখ খোলার জন্য যথেষ্ট ছিল, কিন্তু তারা তার প্রতি জুলুম করেছিল। আমি নিদর্শন পাঠাই ভয় দেখানোরই জন্য।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩৮. মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বহু সুস্পষ্ট মুজিযা দেখা সত্ত্বেও মুশরিকগণ তাঁর কাছে নিত্য নতুন মুজিযা দাবী করত। এটা তাদের সেই দাবীর জবাব। বলা হচ্ছে, ফরমায়েশী মুজিযা দেখানোর ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার একটা নীতি আছে। নীতিটি হল, এরূপ মুজিযা দেখানোর পরও যদি কাফেরগণ ঈমান না আনে, তবে তাদেরকে আযাব দিয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়। তার একটা দৃষ্টান্ত হল ছামুদ জাতি। তাদের দাবী অনুযায়ী পাহাড় থেকে একটি উটনী বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা ঈমান আনেনি। ফলে তারা শাস্তিতে নিপতিত হয়। আল্লাহ তাআলার জানা আছে, ফরমায়েশী মুজিযা দেখানো হলেও মুশরিকগণ ঈমান আনবে না। পূর্ববর্তী জাতিগুলোর মত তারাও নবীকে বরাবর অস্বীকার করতে থাকবে। ফলে তাদেরকে ধ্বংস করা অনিবার্য হয়ে যাবে। কিন্তু এখনই যেহেতু তাদেরকে ধ্বংস করা আল্লাহ তাআলার হিকমতের অনুকূল নয়, তাই তাদেরকে ফরমায়েশী মুজিযা দেখানো হচ্ছে না।
﴾﴿