আর রা'দ

সূরা নং: ১৩, আয়াত নং: ৬

তাফসীর
وَیَسۡتَعۡجِلُوۡنَکَ بِالسَّیِّئَۃِ قَبۡلَ الۡحَسَنَۃِ وَقَدۡ خَلَتۡ مِنۡ قَبۡلِہِمُ الۡمَثُلٰتُ ؕ وَاِنَّ رَبَّکَ لَذُوۡ مَغۡفِرَۃٍ لِّلنَّاسِ عَلٰی ظُلۡمِہِمۡ ۚ وَاِنَّ رَبَّکَ لَشَدِیۡدُ الۡعِقَابِ

উচ্চারণ

ওয়া ইয়াছতা‘জিলূনাকা বিছছাইয়িআতি কাবলাল হাছানাতি ওয়া কাদ খালাত মিন কাবলিহিমুল মাছুলা-তু ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাযূমাগফিরাতিললিন্না-ছি ‘আলাজু লমিহিম ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাশাদীদুল ‘ইকা-ব।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তারা ভালো অবস্থার (কাল শেষ হওয়ার) আগে মন্দ অবস্থার জন্য তাড়াহুড়া করছে। ১১ অথচ তাদের পূর্বে এরূপ লাঞ্ছনাকর শাস্তির বহু ঘটনা গত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মানুষের সীমালংঘন সত্ত্বেও তাদের প্রতি তোমার প্রতিপালক ক্ষমাপ্রবণ এবং এটাও সত্য যে, তার শাস্তি বড় কঠিন। ১২

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১১. অর্থাৎ, মানুষের দ্বারা তাদের অজ্ঞাতসারে যেসব ছোট ছোট গুনাহ হয়ে যায় কিংবা বড় গুনাহ হয়ে গেলেও তারপর সে তাওবা করে নেয়, আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় তা ক্ষমা করে দেন। সীমালংঘন দ্বারা এসব গুনাহ বোঝানো হয়েছে। কিন্তু কুফর, শিরক এবং আল্লাহ তাআলার সঙ্গে জেদ ও হঠকারিতাপূর্ণ আচরণের ব্যাপারটা এমন যে, এর জন্য আল্লাহর তাআলার আযাব অতি কঠিন। কাজেই আল্লাহ তাআলা অতি ক্ষমাশীল একথা চিন্তা করে নিশ্চিন্ত হয়ে যাওয়া উচিত নয়। ভাবা উচিত নয় যে, তিনি ঢালাওভাবে সব গুনাহই অবশ্যই ক্ষমা করে দেবেন।
﴾﴿
সূরা আর রা'দ, আয়াত ১৭১৩