আর রা'দ

সূরা নং: ১৩, আয়াত নং: ৫

তাফসীর
وَاِنۡ تَعۡجَبۡ فَعَجَبٌ قَوۡلُہُمۡ ءَاِذَا کُنَّا تُرٰبًا ءَاِنَّا لَفِیۡ خَلۡقٍ جَدِیۡدٍ ۬ؕ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِرَبِّہِمۡ ۚ وَاُولٰٓئِکَ الۡاَغۡلٰلُ فِیۡۤ اَعۡنَاقِہِمۡ ۚ وَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া ইন তা‘জাব ফা‘আজাবুন কাওলুহুম আইযা-কুন্না-তুরা-বান আইন্না-লাফী খালকিন জাদীদিন উলাইকাল্লাযীনা কাফারু বিরাব্বিহিম ওয়া উলাইকাল আগলা-লু ফীআ‘না-কিহিম ওয়া উলাইকা আসহা-বুন্না-রি হুম ফীহা- খা-লিদূ ন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(ওই কাফেরদের উপর) যদি তুমি বিস্মিত হও, তবে তাদের এ উক্তি (বাস্তবিকই) বিস্ময়ের ব্যাপার যে, আমরা মাটিতে পরিণত হওয়ার পরও কি সত্যি সত্যিই নতুনভাবে জীবন লাভ করব? এরাই তারা, যারা নিজেদের প্রতিপালক (এর শক্তি)কে অস্বীকার করে এবং এরাই তারা, যাদের গলদেশে লাগানো রয়েছে বেড়ি। ১০ তারা জাহান্নামবাসী, যাতে তারা সর্বদা থাকবে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৯. কারও গলায় বেড়ি পরানো থাকলে তার পক্ষে ডানে-বামে ফিরে তাকানো সম্ভব হয় না। ঠিক সে রকমই এসব কাফের সত্য দর্শন ও সত্যের প্রতি ধ্যান-মন দেওয়ার তাওফীক থেকে বঞ্চিত (রূহুল মাআনী)। তাছাড়া গলায় বেড়ি থাকা মূলত দাসত্বের আলামত। ইসলাম-পূর্ব সমাজে দাসদের প্রতি এ রকম আচরণ করা হত যে, তাদের গলায় বেড়ি পরিয়ে রাখা হত। সুতরাং আয়াতের ইশারা এদিকেও হতে পারে যে, ওই সব কাফেরের গলদেশে খেয়াল-খুশী ও ইন্দ্রিয়পরবশতা এবং শয়তানের দাসত্বের বেড়ি পরানো রয়েছে। এ কারণেই তারা নিরপেক্ষভাবে কোন কিছু চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা রাখে না। উপরিউক্ত তাফসীর একদল মুফাসসিরের। অর্থাৎ, তাদের মতে এ বেড়ির সম্পর্ক দুনিয়ার জীবনের সাথে। অপর একদল মুফাসসিরের মতে এ বাক্যের অর্থ হল, আখেরাতে তাদের গলায় বেড়ি লাগিয়ে দেওয়া হবে।
﴾﴿
সূরা আর রা'দ, আয়াত ১৭১২