ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ৯৬

তাফসীর
فَلَمَّاۤ اَنۡ جَآءَ الۡبَشِیۡرُ اَلۡقٰىہُ عَلٰی وَجۡہِہٖ فَارۡتَدَّ بَصِیۡرًا ۚ قَالَ اَلَمۡ اَقُلۡ لَّکُمۡ ۚۙ اِنِّیۡۤ اَعۡلَمُ مِنَ اللّٰہِ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

উচ্চারণ

ফালাম্মা আন জাআল বাশীরু আলকা-হু ‘আলা-ওয়াজহিহী ফারতাদ্দা বাসীরান কালা আলাম আকুল্লাকুম ইন্নীআ‘লামুমিনাল্লা-হি মা-লা-তা‘লামূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তারপর যখন সুসংবাদবাহী এসে সে (ইউসুফের) জামা তার চেহারার উপর ফেলে দিল, অমনি তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসল। ৬২ সে (তার পুত্রদেরকে) বলল, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি, আল্লাহ সম্পর্কে আমি যতটা জানি তোমরা জান না?

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬২. ‘সুসংবাদদাতা’ ছিল হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের সর্বাপেক্ষা বড় ভাই। তার নাম কোন বর্ণনায় বলা হয়েছে ‘ইয়াহূদা’ এবং কোন বর্ণনায় ‘রূবেল’। ‘সুসংবাদ দান’ দ্বারা এই বার্তা বোঝানো হয়েছে যে, হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম এখনও জীবিত আছেন এবং তিনি সকলকে মিসরে তাঁর কাছে যেতে বলেছেন। হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের জামা চেহারায় রাখা মাত্র হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসাটাও একটা মুজিযা ছিল। মুফাসসিরগণ বলেন, হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের জামার সাথে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জড়িত আছে, যথা ভাইয়েরা তার জামায় রক্ত মাখিয়ে পিতার কাছে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু জামাটি অক্ষত দেখে হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম বুঝে ফেলেছিলেন যে, হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে কোন বাঘ-টাগে খায়নি। আবার যুলায়খা তাঁর জামা পেছন দিক থেকে টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিল এবং তা দ্বারা প্রমাণ হয়েছিল তিনি নির্দোষ। তাঁর জামারই সুবাস হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম সুদূর কিনআন থেকে অনুভব করেছিলেন। সবশেষে এই জামারই স্পর্শে তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসল।
﴾﴿