ثُمَّ یَاۡتِیۡ مِنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ عَامٌ فِیۡہِ یُغَاثُ النَّاسُ وَفِیۡہِ یَعۡصِرُوۡنَ ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩২. হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম স্বপ্নের যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তার সারমর্ম ছিল এই যে, আগামী সাত বছর মওসুম ভালো থাকবে। ফলে লোকে বিপুল শস্য উৎপন্ন করতে পারবে। কিন্তু তারপর অনবরত সাত বছর খরা চলবে। স্বপ্নে যে সাতটি মোটাতাজা গাভী দেখা গেছে, তা দ্বারা সুদিনের সেই সাত বছর বোঝানো হয়েছে। আর রোগা-পটকা যে সাতটি গাভী দেখা গেছে, তা খরার সাত বছরের প্রতি ইঙ্গিত। এবার হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম খরার সাত বছরের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি স্বরূপ এই ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিলেন যে, সুদিনের সাত বছর যে ফসল উৎপন্ন হবে, তা থেকে সামান্য পরিমাণ তো দৈনন্দিন খাদ্যের জন্য ব্যবহার করবে আর অবশিষ্ট সব ফসল তার শীষ সমেত রেখে দেবে, যাতে তা পচে-গলে নষ্ট না হয়। যখন খরার সাত বছর আসবে তখন এই সঞ্চিত শস্য কাজে আসবে। সেই সাত বছর লোকে এসব খেতে পারবে। আর স্বপ্নে যে দেখা গেছে সাতটি রোগা-পটকা গাভী সাতটি মোটাতাজা গাভীকে খেয়ে ফেলছে, তার দ্বারা একথাই বোঝানো হয়েছে যে, খরার সাত বছর সুদিনের সাত বছরে যে খাদ্য সঞ্চয় করা হয়েছিল তা খাওয়া হবে। অবশ্য সে সঞ্চয় থেকে সামান্য পরিমাণ শস্য বীজ হিসেবে রেখে দিতে হবে, যা পরবর্তীকালে চাষাবাদের কাজে আসবে। যখন খরার সাত বছর অতিক্রান্ত হবে, তার পরের বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। তখন মানুষ বেশি করে আঙ্গুরের রস সংগ্রহ করবে।