ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ২০

তাফসীর
وَشَرَوۡہُ بِثَمَنٍۭ بَخۡسٍ دَرَاہِمَ مَعۡدُوۡدَۃٍ ۚ  وَکَانُوۡا فِیۡہِ مِنَ الزَّاہِدِیۡنَ ٪

উচ্চারণ

ওয়া শারাওহু বিছামানিম বাখছিন দারা-হিমা মা‘দূদাতিওঁ ওয়া কা-নূফীহি মিনাঝঝাহিদীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

এবং (তারপর) তারা ইউসুফকে অতি অল্প দামে বিক্রি করে দিল- যা ছিল মাত্র কয়েক দিরহাম। বস্তুত ইউসুফের প্রতি তাদের বিশেষ আগ্রহ ছিল না। ১২

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১২. কুরআন মাজীদের বর্ণনাভঙ্গি দ্বারা বাহ্যত এটাই বোঝা যায় যে, বিক্রেতা ছিল যাত্রীদলের লোক এবং হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে নিজেদের কাছে রাখার কোন আগ্রহ তাদের ছিল না; বরং তাকে বিক্রি করে যা-ই পাওয়া যায় সেটাকেই তারা লাভ মনে করেছিল, যেহেতু তা মুফতে অর্জিত হচ্ছিল। তাই যখন ক্রেতা পাওয়া গেল তখন নামমাত্র মূল্যে তাঁকে বিক্রি করে দিল। অবশ্য কোন কোন রিওয়ায়াতে ঘটনার যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তাতে প্রকাশ, হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে তাঁর ভাইয়েরা কুয়ায় ফেলে যাওয়ার পর বড় ভাই ইয়াহুদা রোজ তাঁর খবর নিতে আসত। কিছু খাবার-দাবারও দিয়ে যেত। তৃতীয় দিন তাঁকে কুয়ায় না পেয়ে চারদিকে খোঁজাখুঁজি করতে লাগল। শেষ পর্যন্ত যাত্রীদলের কাছে তাঁকে পেয়ে গেল। এ সময় অন্যান্য ভাইয়েরাও সেখানে উপস্থিত হল। তারা যাত্রীদলকে বলল, এ বালক আমাদের গোলাম। সে পালিয়ে গিয়েছিল। তোমাদের আগ্রহ থাকলে আমরা একে তোমাদের কাছে বিক্রি করতে পারি। ভাইদের আসল উদ্দেশ্য তো ছিল কোনও উপায়ে তাকে পিতার কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া। তাকে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন তাদের লক্ষ্য ছিল না। তাই তারা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে যাত্রীদলের কাছে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিল। বাইবেলেও বলা হয়েছে তাঁর বিক্রেতা ছিল ভাইয়েরাই। তারা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে যাত্রীদলের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল।
﴾﴿