ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ১১১

তাফসীর
لَقَدۡ کَانَ فِیۡ قَصَصِہِمۡ عِبۡرَۃٌ لِّاُولِی الۡاَلۡبَابِ ؕ  مَا کَانَ حَدِیۡثًا یُّفۡتَرٰی وَلٰکِنۡ تَصۡدِیۡقَ الَّذِیۡ بَیۡنَ یَدَیۡہِ وَتَفۡصِیۡلَ کُلِّ شَیۡءٍ وَّہُدًی وَّرَحۡمَۃً لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ ٪

উচ্চারণ

লাকাদ কা-না ফী কাসাসিহিম ‘ইবরাতুল লিঊলিল আলবা-বি মা-কা-না হাদীছাইঁ ইউফতারা-ওয়া লা-কিন তাসদাকাল্লাযী বাইনা ইয়াদইহি ওয়া তাফসীলা কুল্লি শাইইওঁ ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতাল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

নিশ্চয়ই তাদের ঘটনায় বোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য শিক্ষা গ্রহণের উপাদান আছে। এটা এমন কোনও বাণী নয়, যা মিছামিছি গড়ে নেওয়া হয়েছে। বরং এটা এর পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সমর্থক, সবকিছুর বিশদ বিবরণ ৭২ এবং যারা ঈমান আনে তাদের জন্য হিদায়াত ও রহমতের উপকরণ।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৭২. কুরআন মাজীদ এক দিকে তো বলছে, সে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের ঘটনা বর্ণনা করে পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহের সমর্থন করেছে। কেননা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহেও এ ঘটনা সমষ্টিগতভাবে এ রকমই বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে “সবকিছুর বিশদ বিবরণ” বলে সম্ভবত ইশারা করেছে যে, এ ঘটনার বর্ণনায় পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে কিছুটা হেরফের হয়ে গিয়েছিল। কুরআন মাজীদ সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সুতরাং বাইবেলের ‘আদিপুস্তক’-এ হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের ঘটনা পড়লে তার বর্ণনা কোন কোন ক্ষেত্রে কুরআন মাজীদের বর্ণনা থেকে ভিন্ন রকম পরিলক্ষিত হয়। খুব সম্ভব সে দিকেই ইশারা করা হয়েছে যে, সেসব ক্ষেত্রে কুরআন মাজীদ প্রকৃত বর্ণনা দান করেছে।
﴾﴿