ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ১১০

তাফসীর
حَتّٰۤی اِذَا اسۡتَیۡـَٔسَ الرُّسُلُ وَظَنُّوۡۤا اَنَّہُمۡ قَدۡ کُذِبُوۡا جَآءَہُمۡ نَصۡرُنَا ۙ فَنُجِّیَ مَنۡ نَّشَآءُ ؕ وَلَا یُرَدُّ بَاۡسُنَا عَنِ الۡقَوۡمِ الۡمُجۡرِمِیۡنَ

উচ্চারণ

হাত্তা ইযাছতাইআছাররুছুলুওয়া জান্নূআন্নাহুম কাদ কুযিবূজাআহুম নাসরুনা- ফানুজ্জিয়া মান্নাশাউ ওয়ালা-ইউরাদ্দুবা’ছুনা-‘আনিল কাওমিল মুজরিমীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(পূর্ববর্তী নবীদের ক্ষেত্রেও এমনই হয়েছিল যে, তাদের সম্প্রদায়ের উপর আযাব আসতে কিছুটা সময় লেগেছিল) পরিশেষে যখন নবীগণ মানুষের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেল এবং কাফেরগণ মনে করতে লাগল তাদেরকে মিথ্যা হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তখন নবীদের কাছে আমার সাহায্য পৌঁছল ৭১ (অর্থাৎ কাফেরদের উপর আযাব আসে) এবং আমি যাকে ইচ্ছা করেছিলাম তাকে রক্ষা করলাম। অপরাধী সম্প্রদায় হতে আমার শাস্তি টলানো যায় না।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৭১. আয়াতের এ তরজমা করা হয়েছে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু, হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও অন্যান্য তাবেয়ীদের থেকে বর্ণিত তাফসীর অনুযায়ী। আল্লামা আলূসী (রহ.) দীর্ঘ আলোচনা-পর্যালোচনার পর এটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। তবে আয়াতের আরও বিভিন্ন ব্যাখ্যা করা সম্ভব। অন্যান্য মুফাসসিরগণ সেগুলোও গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তরজমা যে তাফসীরের ভিত্তিতে করা হয়েছে, সর্ববিচারে সেটিই বেশি নিখুঁত বলে মনে হয়। বোঝানো হচ্ছে যে, পূর্ববর্তী নবীগণের আমলেও ঘটনা একই রকম ঘটেছে। যখন কাফেরদেরকে প্রদত্ত অবকাশকাল দীর্ঘ হয়ে গেছে এবং এর ভেতর তাদের উপর কোন আযাব আসেনি, তখন একদিকে নবীগণ তাদের ঈমানের ব্যাপারে হতাশ হয়ে গেছেন এবং অন্যদিকে কাফেরগণ মনে করে বসেছে নবীগণ তাদেরকে আল্লাহ তাআলার আযাবের যে হুমকি দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল (নাউযুবিল্লাহ)। অবস্থা যখন এ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তখন সহসা নবীগণের কাছে আল্লাহ তাআলার সাহায্য এসে পৌঁছে এবং অবিশ্বাসীদের উপর আযাব নাযিল হয় আর এভাবে তাঁদের কথা সত্যে পরিণত হয়।
﴾﴿