ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ১০২

তাফসীর
ذٰلِکَ مِنۡ اَنۡۢبَآءِ الۡغَیۡبِ نُوۡحِیۡہِ اِلَیۡکَ ۚ وَمَا کُنۡتَ لَدَیۡہِمۡ اِذۡ اَجۡمَعُوۡۤا اَمۡرَہُمۡ وَہُمۡ یَمۡکُرُوۡنَ

উচ্চারণ

যা-লিকা মিন আমবাইল গাইবি নূহীহি ইলাইকা ওয়ামা-কুনতা লাদাইহিম ইয আজমা‘উআমরাহুম ওয়া হুম ইয়ামকুরূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(হে নবী!) এসব ঘটনা গায়েবের সংবাদরাজির একটা অংশ, যা ওহীর মাধ্যমে আমি তোমাকে জানাচ্ছি। ৬৭ তুমি সেই সময় তাদের (অর্থাৎ ইউসুফের ভাইদের) কাছে উপস্থিত ছিলে না, যখন তারা ষড়যন্ত্র করে নিজেদের সিদ্ধান্ত স্থির করে ফেলেছিল (যে, তারা ইউসুফকে কুয়ায় ফেলে দেবে)।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬৭. সূরার শুরুতে বলা হয়েছিল যে, আল্লাহ তাআলা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের ঘটনা সম্বলিত এ সূরা নাযিল করেছিলেন কাফেরদের একটা প্রশ্নের উত্তরে। তারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করেছিল, বনী ইসরাঈল মিসরে এসে বসবাস করেছিল কী কারণে? তারা নিশ্চিত ছিল, বনী ইসরাঈলের ইতিহাসের এ অধ্যায় সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই। এমন কোনও মাধ্যমও নেই, যা দ্বারা এ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব। তাই তাদের ধারণা ছিল, তিনি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাঁকে ব্যর্থ হতে দিলেন না। তিনি সে ঘটনা বর্ণনার জন্য এই পূর্ণ সূরাটিই নাযিল করে দিলেন। সূরার শেষে এখন ফলাফল বের করা হচ্ছে যে, যেহেতু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ ঘটনা জানার মত কোন মাধ্যম ছিল না, তাই এর দাবী ছিল যারা তাকে এ প্রশ্নটি করেছিল, তারা তাঁর মুখে ঘটনার এরূপ বিশদ বিবরণ শোনার পর তাঁর নবুওয়াত ও রিসালাতের উপর অবশ্যই ঈমান আনবে। কিন্তু সত্য উদ্ভাসিত হওয়ার পর তা গ্রহণ করে নেওয়া যেহেতু তাদের উদ্দেশ্য ছিল না; বরং এসব প্রশ্ন কেবলই হঠকারিতা ও জেদের বশবর্তীতেই তারা করত, তাই সামনের আয়াতসমূহে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এসব সুস্পষ্ট নিদর্শন চোখে দেখা সত্ত্বেও তাদের অধিকাংশেই ঈমান আনবে না।
﴾﴿
সূরা ইউসুফ, আয়াত ১৬৯৮ | মুসলিম বাংলা