৫. অর্থাৎ এমন কেউ নেই, যে কোন ব্যাপারে তাঁর সমকক্ষতা দাবি করতে পারে। সূরাটির এ চার আয়াত দ্বারা আল্লাহ তাআলার তাওহীদকে অত্যন্ত পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম আয়াত দ্বারা বহু-ঈশ্বরবাদী তথা যারা একের বেশি মাবুদে বিশ্বাস করে তাদেরকে রদ করা হয়েছে। দ্বিতীয় আয়াতে তাদের ধ্যান-ধারণা খণ্ডন করা হয়েছে, যারা আল্লাহ তাআলাকে এক জানা সত্ত্বেও অন্য কাউকে বিপদাপদ থেকে উদ্ধারকারী, প্রয়োজন সমাধাকারী, মনোবাঞ্ছা পূরণকারী ইত্যাদি বলে বিশ্বাস করে। তৃতীয় আয়াতে রদ করা হয়েছে তাদেরকে, যারা বিশ্বাস করে আল্লাহ তাআলার সন্তান-সন্ততি আছে। চতুর্থ আয়াতে সেই সব লোকের বিশ্বাস খণ্ডন করা হয়েছে, যারা মনে করে আল্লাহ তাআলার যে-কোনও গুণ একই রকমভাবে অন্য কারও মধ্যেও থাকতে পারে। যেমন মাজুসী সম্প্রদায় বলত, আলোর স্রষ্টা একজন এবং অন্ধকারের অন্যজন। এমনিভাবে মঙ্গল এক খোদা সৃষ্টি করে এবং অমঙ্গল অন্য খোদা। এভাবে এই সংক্ষিপ্ত সূরাটি সব রকমের শিরককে ভ্রান্ত সাব্যস্ত করতঃ খালেস ও বিশুদ্ধ তাওহীদকে সপ্রমাণ করেছে। এ কারণেই এ সূরাকে সূরা ইখলাস বলা হয়।
একটি সহীহ হাদীসে আছে, সূরা ইখলাস কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ। বাহ্যত তার কারণ এই যে, কুরআন মাজীদ মৌলিকভাবে তিনটি আকীদার প্রতি বেশি জোর দিয়েছে তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত। সূরা ইখলাসে এ তিনটির মধ্য হতে তাওহীদকে সুস্পষ্ট করে দিয়েছে। বিভিন্ন হাদীসে এ সূরাটি তিলাওয়াতেরও অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে।