হুদ

সূরা নং: ১১, আয়াত নং: ৪৯

তাফসীর
تِلۡکَ مِنۡ اَنۡۢبَآءِ الۡغَیۡبِ نُوۡحِیۡہَاۤ اِلَیۡکَ ۚ  مَا کُنۡتَ تَعۡلَمُہَاۤ اَنۡتَ وَلَا قَوۡمُکَ مِنۡ قَبۡلِ ہٰذَا ؕۛ  فَاصۡبِرۡ ؕۛ  اِنَّ الۡعَاقِبَۃَ لِلۡمُتَّقِیۡنَ ٪

উচ্চারণ

তিলকা মিন আমবাইল গাইবি নূহীহাইলাইকা মা-কুনতা তা‘লামুহা-আনতা ওয়ালাকাওমুকা মিন কাবলি হা-যা- ফাসবির ইন্নাল ‘আ-কিবাতা লিলমুত্তাকীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(হে নবী!) এগুলো গায়েবের কিছু বৃত্তান্ত, যা আমি ওহীর মাধ্যমে তোমাকে জানাচ্ছি। এসব বৃত্তান্ত তুমিও ইতঃপূর্বে জানতে না এবং তোমার সম্প্রদায়ও না। সুতরাং ধৈর্য ধারণ কর। শেষ পরিণাম মুত্তাকীদেরই অনুকূলে থাকবে। ৩৩

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩৩. হযরত নূহ আলাইহিস সালামের ঘটনা বর্ণনা করার পর এ আয়াতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে দু’টি সত্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। (এক) এ ঘটনা কেবল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই নয়; বরং কুরাইশ এবং অকিতাবীদের মধ্যে কেউ এর আগে জানত না। আর কিতাবীদের থেকে তাঁর এসব শেখারও কোনও সুযোগ ছিল না। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে, কেবল ওহীর মাধ্যমেই তিনি এটা জানতে পেরেছেন। এর দ্বারা তাঁর নবুওয়াত ও রিসালাত সপ্রমাণ হয়। (দুই) নিজ সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যে অবিশ্বাস ও উৎপীড়নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল, সে ব্যাপারে এ ঘটনার মাধ্যমে তাকে প্রথমত সবরের উপদেশ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় সান্তনা দেওয়া হয়েছে যে, শুরুর দিকে হযরত নূহ আলাইহিস সালামকে কঠিন-কঠিন পরিস্থিতির মুকাবিলা করতে হলেও শেষ পরিণাম যেমন তাঁরই অনুকূলে থেকেছে, তেমনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরই বিজয় অর্জিত হবে।
﴾﴿