হুদ

সূরা নং: ১১, আয়াত নং: ৪৮

তাফসীর
قِیۡلَ یٰنُوۡحُ اہۡبِطۡ بِسَلٰمٍ مِّنَّا وَبَرَکٰتٍ عَلَیۡکَ وَعَلٰۤی اُمَمٍ مِّمَّنۡ مَّعَکَ ؕ وَاُمَمٌ سَنُمَتِّعُہُمۡ ثُمَّ یَمَسُّہُمۡ مِّنَّا عَذَابٌ اَلِیۡمٌ

উচ্চারণ

কীলা ইয়া-নূহুহবিতবিছালা-মিম মিন্না-ওয়া বারাকা-তিন ‘আলাইকা ওয়া ‘আলাউমামিম মিম্মাম মা‘আকা ওয়া উমামুন ছানুমাত্তি‘উহুম ছু ম্মা ইয়ামাছছুহুম মিন্না‘আযা-বুন আলীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

বলা হল, হে নূহ! এবার (নৌকা থেকে) নেমে যাও আমার পক্ষ হতে সেই শান্তি ও বরকতসহ, যা তোমার জন্যও এবং তোমার সঙ্গে যে ‘সম্প্রদায়সমূহ’ আছে তাদের জন্যও। আর কিছু সম্প্রদায় এমন রয়েছে, যাদেরকে আমি (দুনিয়ায়) জীবন উপভোগ করতে দেব, তারপর আমার পক্ষ হতে তাদেরকে এক যন্ত্রণাময় শাস্তি স্পর্শ করবে। ৩২

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩২. হযরত নূহ আলাইহিস সালামের সঙ্গীদের জন্য শান্তি ও বরকতের যে ওয়াদা করা হয়েছে, তাতে ‘সম্প্রদায়সমূহ’ শব্দ ব্যবহার করে ইশারা করা হয়েছে যে, এখন যদিও তারা অল্পসংখ্যক, কিন্তু তাদের বংশে বহু সম্প্রদায় জন্ম নেবে এবং তারা সত্য দীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তাই শান্তি ও বরকতে তারাও অংশীদার থাকবে। তবে শেষে বলা হয়েছে, তাদের বংশে এমন কিছু সম্প্রদায়ও জন্ম নেবে, যারা সত্য দীনের উপর কায়েম থাকবে না। ফলে দুনিয়ায় তো তাদেরকে কিছু কালের জন্য জীবন উপভোগের সুযোগ দেওয়া হবে, কিন্তু কুফরের কারণে তাদের শেষ পরিণাম শুভ হবে না। হয়ত দুনিয়াতেও এবং আখেরাতে তো অবশ্যই তাদেরকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
﴾﴿