ইউনুস

সূরা নং: ১০, আয়াত নং: ১৯

তাফসীর
وَمَا کَانَ النَّاسُ اِلَّاۤ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً فَاخۡتَلَفُوۡا ؕ وَلَوۡلَا کَلِمَۃٌ سَبَقَتۡ مِنۡ رَّبِّکَ لَقُضِیَ بَیۡنَہُمۡ فِیۡمَا فِیۡہِ یَخۡتَلِفُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া মা-কা-নান্না-ছুইল্লাউম্মাতাওঁ ওয়া হিদাতান ফাখতালাফূ ওয়া লাওলা-কালিমাতুন ছাবাকাত মির রাব্বিকা লাকুদিয়া বাইনাহুম ফীমা-ফীহি ইয়াখতালিফূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(প্রথমে) সমস্ত মানুষ কেবল একই দীনের অনুসারী ছিল। তারপর তারা (পরস্পরে মতভেদে লিপ্ত হয়ে) আলাদা-আলাদা হয়ে যায়। তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে পূর্ব থেকেই একটা কথা স্থিরীকৃত না থাকলে তারা যে বিষয়ে মতভেদ করছে (দুনিয়াতেই) তার মীমাংসা করে দেওয়া হত। ১০

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১০. অর্থাৎ শুরু শুরুতে হযরত আদম আলাইহিস সালাম যখন পৃথিবীতে আগমন করেন, তখন সমস্ত মানুষ তাওহীদ ও সত্য-সঠিক দীনেরই অনুসরণ করত। পরবর্তীকালে কিছু লোক পরস্পর মতভেদে লিপ্ত হয়ে ভিন্ন-ভিন্ন ধর্ম সৃষ্টি করে নেয়। আল্লাহ তাআলা এ দুনিয়াতেই তাদের মতভেদের মীমাংসা করে দিতে পারতেন, কিন্তু তা করেননি এ কারণে যে, তা দুনিয়া সৃষ্টির উদ্দেশ্যের পরিপন্থী হত। আল্লাহ তাআলা জগত সৃষ্টির পূর্বেই স্থির করে রেখেছিলেন যে, দুনিয়া সৃষ্টি করা হবে মানুষকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে। সে পরীক্ষাকে সকলের জন্য সহজ করার লক্ষ্যে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নবী-রাসূল পাঠানো হবে। তারা মানুষকে দুনিয়ায় তাদের আগমনের উদ্দেশ্য স্মরণ করিয়ে দেবে এবং তারা অকাট্য দলীল-প্রমাণ দ্বারা সত্য দীনকে মানুষের সামনে স্পষ্ট করে দেবে। তারপর তারা স্বেচ্ছায় যে পথ ইচ্ছা অবলম্বন করবে। কে সঠিক ও পুরস্কারযোগ্য পথ অবলম্বন করেছে এবং কে ভ্রান্ত ও শাস্তিযোগ্য পথ, তার মীমাংসা হবে আখেরাতে।
﴾﴿