ইসলামী খেলাফত ধংসের প্রকৃত ইতিহাস
৪৩%

ইসলামী খেলাফত ধংসের প্রকৃত ইতিহাস

১২৫.০০২২০.০০
আপনি ৪৩% সাশ্রয় করছেন
লেখক:মুফতী মনসূরুল হক
প্রকাশক:মাকতাবাতুল মানসূর
বিষয়:ইসলামী বিশ্ব ও ইতিহাস
ক্যাটাগরি:বই ও ক্যালেন্ডার
স্টক:ইন স্টক
পণ্য কোড:islami-khelafot-dhongserprokrito-itihas
পরিমাণ:
ডেলিভারি নির্দেশনা:

  • CoD/ক্যাশ অন ডেলিভারি প্রযোজ্য নয়।
  • মোট ২০০০ টাকা বা তার বেশি অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি ( মুদি পণ্য ব্যাতিত )

  • পণ্যের বিবরণ

    লেখক: মুফতী মনসূরুল হক সাহেব পরিচিতিঃ https://muslimbangla.com/author/1 প্রকাশক: মাকতাবাতুল মানসূর ------------------ ইতিহাস’ শিক্ষিতজনদের উৎকৃষ্ট খোরাক বুদ্ধিমানদের পথের দিশারী। বিবেকবানরা ইতিহাস পড়েন। অতীতকালের উত্থান-পতনের কাহিনীর আলোকে নির্ণয় করেন আগামী দিনের জয়-পরাজয় ও সফলতা-ব্যর্থতার মাপকাঠি। সে কাঠিতে মেপে-ঝোপে রচনা করেন তাঁরা উন্নত ভবিষ্যত-প্রত্যাশিত নতুন ইতিহাস। মূলতঃ এ উদ্দেশ্যেই কুরআনে কারীমে বিভিন্ন জাতির উত্থান-পতনের কাহিনী বিধৃত হয়েছে অতীব যত্নের সাথে যারপর নাই সংক্ষিপ্ত পরিসরে। কিন্তু অনুসৃত সেই ইতিহাস যদি হয় বিকৃত-পরিবর্তিত ও বাস্তবতার সীমান্তচ্যুত তাহলে সে আলোকে প্রতিষ্ঠিত যে কোন ভবিষ্যত ও ভবিষ্যত ভাবনাই যে হবে বিকৃত, অধঃপতিত ও পরাজিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘বাড়াবাড়ি’ কবিদের রোগ। ভারসাম্য ও সত্যসীমা বজায় রেখে কথা বলতে তারা অপারগ। তাদের তুলির আঁচড়ে প্রিয়জনরা হয়ে ওঠে জ্যোৎস্না নন্দিত অনিন্দ্য রূপসী কিংবা তার চাইতেও উজ্জ্বলতম আর বিজনরা চিত্রিত হয় পোকার কামড়ে বিক্ষত শতছিদ্র গোবরস্তুপ তুল্য একখানা কৃষ্ণাকালো আদলে। কিন্তু কাব্যশিল্পীদের এই বাড়াবাড়ি যদি মহামারীর রূপ নেয়; বিস্তৃতির পাখা ছড়িয়ে দেয় ইতিহাসের গচ্ছিত সম্পদ অবধি, তখন আর সেই ইতিহাস ‘ইতিহাস’ থাকে না। বরং তা হয়ে ওঠে কাব্যের রস ভরা উপাদান গল্প-উপন্যাস। গল্প-উপন্যাস অদ্যাবধি কোন জাতিকে তার উন্নত ভবিষ্যত নির্মাণে সাহায্য করেছে বলে শোনা যায়নি। একথাও সত্য, ইতিহাস মানুষের রচনা। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তাই মানুষের কোন শিল্প-সৃষ্টি-রচনা-আবিষ্কারই সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয়। পৃথিবীতে সুস্থ মানব প্রজন্মের যে যা করেছে এই স্বীকৃত দিয়েই করেছে। পক্ষান্তরে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সকল ত্রুটির ঊর্ধ্বে তাঁর সৃজিত বিশ্বে কুদরতের মহিমায় শিল্পে অপূর্ণতা, অসতর্কতা, অক্ষমতা, অদক্ষতা আর ত্রুটি-বিচ্যুতির কোন দাগ নেই। মুমিন হওয়ার জন্যেও এই স্বীকৃতি অত্যাবশ্যকীয়। এই সূত্রদ্বয়ের আলোকেই একথা নিঃশঙ্কচিত্তে বিশ্বাস করতে হয় ইতিহাস মানুষের সৃষ্টি। কুরআন আল্লাহ’র চিরন্তন চিরসত্য গুন। হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনেরই ব্যাখ্যা মাত্র। তাই ঐতিহাসিক কোন তথ্য যদি কুরআন-হাদীসের সাথে সংঘাতপূর্ণ হয় তখন সে ইতিহাস মানার যোগ্য কেন, পঠনযোগ্যই থাকে না। বরং এভাবেও বলা যায় ইতিহাসের সত্যতা, ইতিহাস নির্ভর শিক্ষা ও নির্দেশনা কোন ক্ষেত্রে কতটুকু সত্য ও গ্রহণযোগ্য তা বিচার করা হবে কুরআন-হাদীসের আলোকে। মানুষের সৃষ্টি আল্লাহ’র দেয়া নির্দেশনার আলোকে বিবেচিত হবে এইটাই স্বাভাবিক। মুমিনের জীবনে অনিবার্য বাস্তবতা এটা। অথচ যদি এর বিপরীত ঘটে কোন অর্বাচীন যদি ইতিহাসের আলোকে কুরআন হাদীস নিঃসৃত শিক্ষা, দর্শন ও আদর্শকে বিচার করতে শুরু করে তাকে মুমিন বলার অবকাশ থাকবে কি? তাকে ইসলাম ও মুসলমানের মিত্র ভাবার কারণ থাকবে কি ? নিশ্চয় না। একথা কাফির মুশরিকরাও জানে। জানে আমাদের জাতশত্রু ইয়াহুদীরাও। এ কারণেই তারা (শত্রুরা) পথ চলেছে নিশ্ছিদ্র সতর্কতার সাথে। তারা যুগে যুগে মুসলমান খান্দানের বেশ কিছু উর্বর মস্তিষ্ক খরিদ করেছে। অতঃপর ইসলামের ঢিলাঢালা আলখাল্লা পরিয়ে ইসলাম চর্চা ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা ও নেতৃত্বের নির্দেশনার সুরে এমন সব বাকোয়াছ করেছে, সাহিত্যের নৈপুণ্য ও উপস্থাপনার দৃঢ়তায় বাহ্যত ও ‘অনিবার্য প্রেসক্রিপশন’ মনে হলেও প্রকৃত অর্থে তা ছিল কুরআন হাদীস থেকে উন্মতকে সরিয়ে ফেলার সুগভীর চক্রান্ত। বিক্রিত এই চিন্হিত গবেষক (?) মহল বরাবরই ইতিহাস চর্চার নামে তাদের বই পুস্তকে এমন কিছু প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা ছড়িয়ে দেয় প্রকৃত সত্য যাদের অজানা তারা সেসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে ইসলামের মহান ঐতিহ্য ও বরেণ্য পূর্বসূরীদের সম্পর্কে সহজেই অনাস্থার শিকার হয়ে পড়ে। অথচ সেই ঐতিহ্যই তার পথ চলার পাথেয় সেই মহান পূর্বসুরীগণই তার জীবনের নিঃস্বার্থ রাহনূমা-পথপ্রদর্শক। অধিকন্তু তাঁদের ঐকান্তিক ত্যাগ ও কুরবানীর বদৌলতেই আজ সারা বিশ্ব আলোকিত ইসলামের বিমল আলোয়। একই সাথে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে যে ইয়াহুদীরা চক্রান্তের দাবদাহে ভস্ম করে দিয়েছে কথিত এই গবেষকরা সুকৌশলে চেপে যায় এই ‘গণিত’ অধ্যায়টি । ফলে সরলমনা মুসলিম বন্ধুরা শিকার হন মহাভ্রান্তির। প্রকৃত সত্য সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন সেই মহান কাফেলার প্রতি যাঁদের অকৃত্রিম উৎসর্গের বিনিময়ে আমরা আজ মুসলিম বলে গর্ববোধ করি। তাই জানা দরকার- আমাদের গোড়ার শত্রু কারা ? কারা আমাদের গৌরবময় অতীতকে আত্মদ্বন্দ্বের যাঁতাকলে দলিত করেছে ? কাদের ষড়যন্ত্রে আমরা লহুসিক্ত হয়েছি জঙ্গে জামালে, জঙ্গে সিফফীনে? কাদের আঘাতে শহীদ হয়েছে সায়্যিদুনা হযরত উমর রাযি.? সর্বশ্রেষ্ঠ মাযলূম শহীদ উসমান রাযি. কে হারালাম কোন পাপিষ্ঠদের হাতে ? নবীজীর নয়নের মণি, হযরত ফাতিমার কলিজার টুকরা, মুসলিম উম্মাহ’র হৃদয়ের ধন সায়্যিদুনা হুসাইন রাযি. কে কারবালার প্রান্তরে নির্মমভাবে শহীদ করল কারা এবং কি ছিল এর প্রেক্ষাপট? মূলত এ প্রশ্নগুলোর জবাব জানা এখন আমাদের জন্যে জরুরী হয়ে পড়েছে। আমাদের ঈমানকে রক্ষা করার স্বার্থে আমাদের সত্যিকার অতীতের আলোকে সার্থক ভবিষ্যত গড়ার স্বার্থে বক্ষ্যমাণ পুস্তকে আমরা এই প্রশ্নগুলোরই জবাব খুঁজতে চেষ্টা করেছি অত্যন্ত সতর্কতা, আন্তরিকতা, আমানতদারী ও বিশ্বস্ততার সাথে। আল্লাহ ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদেরকে আমাদের শত্রু বলে চিহ্নিত করেছেন আমরাও নতুন করে তাদেরকেই ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছি। বলতে চেয়েছি আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদেরকে শত্রু বলেছেন তারা কোনদিনই আমাদের মিত্র ছিল না। আরও বলতে চেয়েছি তাদের শত্রুতার স্বরূপ কাহিনী। সেই শত্রুরা এখনও আছে। আমাদের আশেপাশেই আছে। তাদের দোসররাও আছে। মানস সন্তানরাও আছে। এই শত্রুদের মুখোশ উন্মোচনে যদি সামান্যতমও সহায়ক হয় এই ক্ষুদ্র বইখানি তাহলেই আমরা আমাদের শ্রমকে সার্থক বলে মনে করব। বইটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হওয়ার পরে অতি অল্প সময়েই তা সুধী মহলে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয় এবং অতি দ্রুত প্রথম সংস্করণ নিঃশেষ হয়ে যায়। পুনর্মুদ্রণের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুরোধ ‘আসতে থাকা সত্ত্বেও নানা প্রতিবন্ধকতা আর ব্যস্ততার জন্য তাদের সে অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। পরিশেষে স্নেহভাজন মীযানুর রহমান কাসেমী বইটি নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ করার উদ্যোগ নেয়ার অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আল্লাহ পাক তাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন এবং বইটিকে কবুল করুন। এখন পাঠকদের হাতে বইটির চতুর্থ সংস্করণ রয়েছে। এই সংস্করণের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কারবালার প্রকৃত ইতিহাস এতে তুলে ধরা হয়েছে। অনেকে এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য অবগত না হওয়ার কারণে হযরত মুআবিয়া রা. কে এ ব্যাপারে দোষারোপ করে থাকেন, অনেকে আবার ইয়াযীদ সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করে থাকেন। তাই কারবালার প্রকৃত ইতিহাস ও তথ্য এখানে তুলে ধরা হল। তাছাড়া সাহাবায়ে কিরামের মর্যাদা এবং তাদের মাপকাঠি হওয়ার ব্যাপারেও বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে যা পূর্ববর্তী সংস্করণগুলিতে ছিল না। আশা করি এর দ্বারা পাঠকবৃন্দ নিজেদের ঈমান আক্বীদা সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন। আল্লাহ পাক আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন । মনসূরুল হক জামিআ রাহমানিয়া মুহাম্মদপুর ২০ রবিউস সানী, ১৪২৯ হিঃ

    সংশ্লিষ্ট পণ্য