- পণ্য
- /
- বই ও ক্যালেন্ডার
- /
- সন্তানের উপার্জনে পিতা-মাতার পাওনা || ডক্টর সায়িদ বাকদাশ

৪০%
সন্তানের উপার্জনে পিতা-মাতার পাওনা || ডক্টর সায়িদ বাকদাশ
৳১৮০.০০৳৩০০.০০
আপনি ৪০% সাশ্রয় করছেনক্যাটাগরি:বই ও ক্যালেন্ডার
স্টক:ইন স্টক
পণ্য কোড:sontaner-uparjone-pitamata
পরিমাণ:
১
ডেলিভারি নির্দেশনা: CoD/ক্যাশ অন ডেলিভারি প্রযোজ্য নয়। মোট ২০০০ মূল্যের পণ্যে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি ( মুদী পণ্য ব্যাতিত )
পণ্যের বিবরণ
সন্তানের উপার্জনে পিতা-মাতার পাওনা
ডক্টর সায়িদ বাকদাশ
অনুবাদ: আল আমীন
সারাংশ: পিতা-পুত্রের সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে মমতাময় ও অকৃত্রিম একটি সম্পর্ক। এ সম্পর্কে থাকে দায়িত্বের সৌরভ, ভালোবাসার সুগন্ধ। থাকে একে অপরের জন্য আত্মত্যাগের মধুর বন্ধন। পিতা সারাজীবন মায়া-মমতা ও নিরন্তর শ্রম-পরিশ্রম ব্যয় করে গড়ে তোলেন নিজের সন্তানকে। পিতার ছায়ায় জীবন গড়তে পারা সন্তানের পরম সৌভাগ্য। সন্তান যখন বড়ো হয়, জীবনের দুর্গম পথে পা বাড়ায়, তখন তার কাঁধে আবর্তিত হয় পিতার প্রতি শ্রদ্ধা, সেবা ও ভালোবাসার কর্তব্য পালনের মহান দায়িত্ব।
কিন্তু আজকের বস্তুবাদী, আত্মকেন্দ্রিক সমাজ এই মহৎ সম্পর্ককেও কলুষিত করে তুলেছে। সম্পদের মোহ, অর্থকড়ি কামাইয়ের প্রতিযোগিতা, চাকচিক্যের প্রলোভন- এসব কিছু যেন ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে পিতা-পুত্রের পবিত্র বন্ধন। বর্তমানে বস্তুবাদী চিন্তা-চেতনা নিয়ে বেড়ে উঠা অনেক সন্তানই আছে এমন-যারা সামান্য কিছু অর্থকড়ি বা টাকা-পয়সা আয়-উপার্জন করতে পারলেই ভুলে যায় সেই কাঁধের স্পর্শ- যেখানে সে প্রথম ঘুমিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর হয়ে অনেক সন্তানই এক সময় অবহেলা করে ওই দুটি হাত- যেগুলো ধরে জীবনের প্রথম প্রহরে সে হাঁটতে শিখেছিল। ভুলে যায় ওই দুটি প্রাণের কথা-যারা খেয়ে না খেয়ে তিলে তিলে তাকে বড় করে তুলেছিল। এক সময় সে বাবা-মাকে বোঝা মনে করে। তাদের ভরণপোষণ, যত্ন, চিকিৎসা ইত্যাদির দায়িত্ব গ্রহণ করতেও অনীহা প্রকাশ করে। এই অমানবিক ও অকৃতজ্ঞ দৃশ্য যখন দৃষ্টিগোচর হয়, তখন প্রতিটি বিবেকবান মানুষের হৃদয় ব্যথাতুর হয়। বিষাদে ভরে যায় তনুমন।
আরেক দিকে দেখা যায়, অনেক পিতা-মাতা আছেন এমন- যারা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ অর্থাৎ, তুমি ও তোমার সম্পদ, উভয়ই তোমার পিতার- এর অপব্যাখ্যা করেন। সন্তানদের আয়-উপার্জনে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করেন। কখনো কখনো কম জানা বা কম শিক্ষিত পিতা-মাতা সন্তানের ন্যায্য অধিকারটুকুও ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হন। তার ওপর খরচাপাতির অন্যায্য বোঝা চাপিয়ে দেন। এর প্রভাবে সন্তানও এক পর্যায়ে সম্পর্ক থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করে। অথচ প্রিয়নবি সা.-এর পবিত্র যবান থেকে এই বাণী উচ্চারিত হয়েছে কেবল করুণা, দয়া ও পারিবারিক সহমর্মিতার শিক্ষা দানের জন্য। একতরফাভাবে কারও সম্পদ দখলের অনুমতি এতে দেওয়া হয়নি। সুতরাং হাদিসের অপব্যাখ্যা করে সন্তানের অধিকার নষ্ট করার সুযোগ নেই।
এই দুই প্রান্তিকতার মাঝে ইসলাম একটি ন্যায় ও ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। দিয়েছে ইনসাফের সুনির্মল পাঠ-সবক। ইসলাম কোনো এক পক্ষকে পুরোপুরি উন্মুক্ত ছাড় দেয়নি। আবার অন্য পক্ষের ওপর সাধ্যাতীত কষ্টের বোঝাও চাপিয়ে দেয়নি; বরং ইসলাম প্রতিটি পক্ষের দায়িত্ব ও অধিকার সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছে। যাতে মানুষের পারিবারিক বন্ধন স্থায়ী হয়। পরস্পরের মাঝে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি অটুট থাকে।
মানবসমাজে সম্পদের প্রশ্ন অত্যন্ত স্পর্শকাতর। পারিবারিক সম্পর্কের শেকড়ে যদি ঈমান, ইনসাফ ও দয়া না থাকে, তবে ওই সম্পর্ক সম্পদের মোহে একসময় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। পক্ষান্তরে, যদি দীনের আলোর উদ্ভাসিত হয় পরিবারের প্রতিটি সদস্য, তবে এই সম্পদই হয় তাদের পারষ্পরিক দয়া, নিরাপত্তা ও সম্মানের অন্যতম হাতিয়ার।
পিতা সন্তানের সম্পদে কতটুকু হস্তক্ষেপ করতে পারবেন, কোন পরিস্থিতিতে করতে পারবেন, কোন সীমা পর্যন্ত করতে পারবেন, কোথায় তার অধিকার, কোথায় তার সীমাবদ্ধতা- এসব বিষয়ে ভারসাম্যপূর্ণ ও দলিলভিত্তিক আলোচনা করার লক্ষ্যেই বইটি রচনা করা হয়েছে। বইটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কুরআন-হাদিসের নির্ভুল দিকনির্দেশনা, চার মাযহাবের মনীষীদের বিশুদ্ধ মতামত ও বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করার পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক যেসব সমস্যা ও প্রশ্নমালা তৈরি হয় সেগুলোর সদুত্তর প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রকাশনী: আল আমীন রিসার্চ পাবলিকেশন









