- পণ্য
- /
- বই ও ক্যালেন্ডার
- /
- ইসলামী বিবাহ - মুফতী মনসূরুল হক সাহেব

৪২%
ইসলামী বিবাহ - মুফতী মনসূরুল হক সাহেব
৳৭০.০০৳১২০.০০
আপনি ৪২% সাশ্রয় করছেনলেখক:মুফতী মনসূরুল হক
প্রকাশক:মাকতাবাতুল মানসূর
বিষয়:ইবাদাহ্
ক্যাটাগরি:বই ও ক্যালেন্ডার
স্টক:ইন স্টক
পণ্য কোড:islami-bibaho
পরিমাণ:
১
ডেলিভারি নির্দেশনা: CoD/ক্যাশ অন ডেলিভারি প্রযোজ্য নয়। মোট ২০০০ টাকা বা তার বেশি অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি ( মুদি পণ্য ব্যাতিত )
পণ্যের বিবরণ
লেখক: মুফতী মনসূরুল হক সাহেব
পরিচিতিঃ https://muslimbangla.com/author/1
প্রকাশক: মাকতাবাতুল মানসূর
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمُ الَّذِیْ خَلَقَكُمْ مِّنْ نَّفْسٍ وَّاحِدَۃٍ وَّخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا کَثِیْرًا وَّنِسَآءً ۚ وَاتَّقُوا اللهَ الَّذِیْ تَسَآءَلُوْنَ بِهٖ وَالْاَرْحَامَ ؕ اِنَّ اللهَ کَانَ عَلَیْكُمْ رَقِیْبًا ﴿۱﴾
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যার নামের দোহাই দিয়ে তোমরা একে অপরের নিকট পাওনা চেয়ে থাক। আর আত্মীয় স্বজনদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন। (সূরা নিসা)
তাফসীরঃ সন্তান-সন্ততি, পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী কারো নিজ বংশের ছেলে-মেয়ে এবং ইয়াতীম আত্মীয়- স্বজনদের পারস্পরিক অধিকার আদায় হওয়া নির্ভর করে সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও আন্তরিকতার উপর। এসব অধিকারকে তুলাদণ্ডে পরিমাপ করা যায় না। কোন চুক্তির মাধ্যমেও তা নির্ণয় করা দুষ্কর। সুতরাং এসব অধিকার আদায়ের জন্য আল্লাহ ভীতি এবং আখিরাতের ভয় ছাড়া দ্বিতীয় আর কোন উত্তম উপায় নেই। আর একেই বলা হয়েছে তাকওয়া। বস্তুতঃ এই তাকওয়া দেশের প্রচলিত আইন ও প্রশাসনিক শক্তির চেয়ে অনেক বড়। তাই আলোচ্য সূরাটিও তাকওয়ার বিধান দিয়ে শুরু হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করছেন, হে মানবমন্ডলী! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার বিরুদ্ধাচরণকে ভয় কর।”
সম্ভবত এই কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিবাহের খুতবায় এই সূরাটি পাঠ করতেন। বিবাহের খুতবায় আলোচ্য আয়াতটি পাঠ করা সুন্নত। বিশেষ ভাবে উল্লেখ যে, এখানে ‘হে মানবমন্ডলী’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। যাতে সমস্ত মানুষই- চাই সে পুরুষ হোক কিংবা নারী-কিয়ামত পর্যন্ত জন্ম গ্রহণকারী প্রতিটি মানুষই এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। তাকওয়ার হুকুমের সাথে সাথে আল্লাহর অসংখ্য নামের মধ্য হতে এখানে ‘রব’ শব্দটি ব্যবহার করার মধ্যেও একটি বিশেষ তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। অর্থাৎ এমন এক স্বত্বার বিরুদ্ধাচরণ করা কি সম্ভব হতে পারে যিনি সমগ্র সৃষ্টির লালন-পালনের যিম্মাদার এবং যার রুবুবিয়্যাত বা পালন নীতির দৃষ্টান্ত প্রতিটি স্তরে স্তরে দেদীপ্যমান। এর পরই আল্লাহ তা‘আলা মানব সৃষ্টির একটি প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ তিনি বিশেষ কৌশল ও দয়ার মাধ্যমে মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে সৃষ্টি করার বিভিন্ন প্রক্রিয়া হতে পারত, কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা একটি বিশেষ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছেন; আর তা হচ্ছে, দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে একটি মাত্র মানুষ অর্থাৎ হযরত আদম আ. থেকে সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার সুদৃঢ় বন্ধন স্থাপন করে দিয়েছেন। আল্লাহ ভীতি ও পরকালের ভয় ছাড়াও এই ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধ হয়েই একে অন্যের অধিকারের প্রতি পুরোপুরি সম্মান প্রদর্শন করে এবং উঁচু-নিচু, ধনী-গরীবের ব্যবধান ভুলে যেয়ে সকলে যেন একই মানদণ্ডে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরী করে নেয়। (মা‘আরিফুল কুরআন)









