বিপদ আপদ বালা মুসিবতে সান্তনা ও পুরষ্কার
৩৮%

বিপদ আপদ বালা মুসিবতে সান্তনা ও পুরষ্কার

২৫.০০৪০.০০
আপনি ৩৮% সাশ্রয় করছেন
লেখক:মুফতী মনসূরুল হক
প্রকাশক:মাকতাবাতুল মানসূর
ক্যাটাগরি:বই ও ক্যালেন্ডার
স্টক:ইন স্টক
পণ্য কোড:bipode-apode-santona-puroskar
পরিমাণ:
ডেলিভারি নির্দেশনা:

  • CoD/ক্যাশ অন ডেলিভারি প্রযোজ্য নয়।
  • মোট ২০০০ টাকা বা তার বেশি অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি ( মুদি পণ্য ব্যাতিত )

  • পণ্যের বিবরণ

    লেখক: মুফতী মনসূরুল হক সাহেব পরিচিতিঃ https://muslimbangla.com/author/1 প্রকাশক: মাকতাবাতুল মানসূর হামদ ও সালাতের পর, কুরআনে কারীম ও সুন্নাতে নববীর সর্বপ্রথম এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ঈমান শিক্ষা করা। ইসলামী শরীয়তে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কোন বিষয় নাই। এমনকি শুধুমাত্র বিশুদ্ধ ঈমানই পরকালে নাজাতের উসীলা হবে। কোন ঈমানদার আমলের ক্রটির কারণে অস্থায়ীভাবে জাহান্নামে যেতে পারে, কিন্তু সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না। অপরদিকে খাঁটি ও বিশুদ্ধ ঈমান যদি না থাকে তাহলে সকল প্রকার ইবাদত ও বন্দেগী বেকার গণ্য হবে। কেননা ঈমান ব্যতীত কোন ইবাদত বন্দেগী আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ঈমানের সাথে আমল থাকলে আশা করা যায় যে, সে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে বেঁচে সরাসরি জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ লাভ করবে। এ ঈমান সম্পর্কে মুমিন মুসলমানকে আল্লাহ তা’আলা কয়েকটি দায়িত্ব অর্পণ করেছেন – ক. ঈমান আনার পর ঈমানকে মজবুত ও শক্তিশালী করা, এবং তার জন্য দাওয়াতের লাইনে মেহনত অব্যাহত রাখা। খ. ঈমানকে কুফর ও শিরক থেকে পাক পবিত্র রাখা, অর্থাৎ এমন কোন কথা বা কাজ না করা যার দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যায়, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। গ. মৃত্যু পর্যন্ত সহীহ ঈমান-আকীদার উপর কায়িম থাকা। ঈমানের ব্যাপারে যে ব্যক্তি এসব বিষয়গুলি স্মরণ রাখবে ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ তাকে ঈমানী মৃত্যু নসীব করবেন। বালা মুসীবত ও বিপদ আপদে মানুষ ঈমান সম্পর্কীয় পর্যাপ্ত ইলম ও ইয়াক্বীন না থাকায় অনেক সময় ধৈর্যহীন হয়ে এমন কথা বলে ফেলে বা এমন কাজ করে বসে, যাতে তার ঈমান বিনষ্ট হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং পিছের যিন্দেগীর সকল ইবাদত বন্দেগী বরবাদ হয়ে যায়। এ সমস্যা থেকে বাঁচার লক্ষ্যে বক্ষ্যমাণ পুস্তিকায় বিপদ আপদ ও বালা মুসীবতের ব্যাপারে কুরআন ও হাদীসে যে সকল সান্তনাবাণী ও পুরষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছে তার থেকে সামান্য কিছু বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। যাতে করে বিপদে সান্ত্বনা লাভ ও ধৈর্য ধারণ সহজ হয় এবং দুঃখ কষ্টের ভেতরে আল্লাহ তা’আলা যে অসংখ্য সাওয়াব ও ফযীলত রেখেছেন, তা অনুধাবন করে সেটাকে যেন আমরা আল্লাহর বিশেষ এক ধরনের নিয়ামত মনে করতে পারি। আল্লাহ তা’আলা সমগ্র বিশ্বের মালিক; আমাদের জান-মাল, বিষয়-সম্পদ, পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান সব কিছুই আল্লাহ তা’আলার মালিকানা। আমরা যে মালিকানা দাবী করি তা ঠিক নয়। কারণ, আমাদের অস্থায়ী মালিকানাটুকুও জান্নাতের বিনিময়ে আমরা আল্লাহর নিকট বিক্রি করে দিয়েছি। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মালিকানার মধ্যে আমাদের মঙ্গলের জন্য যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখেন; তাঁর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপত্তি করার বা প্রশ্ন তোলার কেউ কোন প্রকার অধিকার রাখে না। আল্লাহ তা’আলার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মনক্ষুন্ন হওয়া বা অভিযোগ করা কুফরি কাজ, এতে ঈমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বান্দার দায়িত্ব এতটুকু যে, আল্লাহ তা’আলার সিদ্ধান্ত তার মনের অনুকূলে হলে সে আল্লাহর হামদ ও শোকর আদায় করবে। আর যদি আল্লাহর কোন সিদ্ধান্ত তার মনের বিরুদ্ধে হয় তাহলে সে আল্লাহর হামদ ও সবর করবে। সারকথা, মালিকানা যার সিদ্ধান্ত তার; এখানে নাক গলানোর কার কি অধিকার আছে? বক্ষ্যমাণ পুস্তিকাখানা মনোযোগ সহকারে পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ কোন প্রকার বিপদ-আপদ, কষ্ট-দুঃখে আল্লাহর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ আমাদের দিলের মধ্যে সৃষ্টি হবে না এবং আমরা আমাদের অমূল্য সম্পদ ঈমানকে হেফাযত করতে পারব ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে আল্লাহ তা‘আলার দরবারে দু‘আ করছি, তিনি যেন আমাদের সকলকে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলার সিদ্ধান্তের উপর খুশী থেকে ঈমানকে হেফাযত করার তাউফীক দান করেন এবং পুস্তিকাটিকে কবুলিয়াতের মর্যাদা দান করেন। এবং এ পুস্তিকা প্রস্তুত ও প্রকাশের ব্যাপারে যারা যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে, বিশেষ করে আমার প্রিয় শাগরিদ মাওলানা মুফতী আবূ সাইমকে জাযায়ে খাইর দান করেন এবং তাদের ইলম ও আমলে বরকত দান করেন- আমীন।

    সংশ্লিষ্ট পণ্য