আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

৩০৭৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

জনৈকা বিধবা মহিলার কয়েকজন নাবালেগ সন্তান আছে। তাদের তিনি নিয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তার সাংসারিক খরচাদির কোনো ব্যস্থা নেই। তার ভাইরা তাকে সহযোগিতা করে। ভাইরা তার দূরাবস্থা দেখে তাকে যাকাতের টাকা থেকে দিয়ে আসছে। বড় ভাই একথা জানার পর অন্য ভাইদেরকে বললেন, তোমরা যে যাকাত দিচ্ছ তার কোনো টাকা-পয়সা বা গয়নাগাটি আছে কি না জান? তখন ভাইরা বলল, আরে না, সে গয়নাগাটি কোথায় পাবে? আমরা কোনোদিন তাকে গয়নাগাটি পরতে দেখিনি। আর তার সংসারই চলে না। সেখানে তার কাছে জমা টাকা থাকবে কি করে? পরে বোনকে জিজ্ঞাসা করে দেখা গেল তার কাছে ১ তোলা দুই আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন আছে। আর ৬ হাজার টাকা আছে। এখন জানতে চাই, তাকে যাকাত দেওয়া যাবে কি না? যদি যাকাত দেওয়া না যায় তাহলে এত দিন যা দেওয়া হয়েছে তার হুকুম কি? যাকাতদাতাদের যাকাত আদায় হয়েছে কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
২৮৩৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমরা জানি যে, কারো নিকট প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে যাকাত (১ বছর অতিক্রম হলে) ও কুরবানী ওয়াজিব। এখন আমার জানার বিষয় হল, আমার এমন অনেক আত্মীয়স্বজন আছেন, যারা বাহ্যত গরীব। কষ্ট করে সংসার চলে। কিন্তু তারা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে যেমন মেয়ের বিবাহ দেওয়া, ঘরবাড়ি বানানো ইত্যাদির জন্য বিভিন্ন বীমা ও ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে টাকা জমা দিয়ে আসছেন। যা ইতোমধ্যেই নিসাব পরিমাণ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, এই টাকা কিন্তু বর্তমানে তাদের প্রয়োজন অতিরিক্ত। এমতাবস্থায় তাদের উপর কুরবানী ও যাকাত ওয়াজিব হবে কি না এবং তাদের জন্য যাকাতের মাল খাওয়া বৈধ হবে কি না? সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে বাধিত করবেন।  

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০
২৮০৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

 

(ক) আমার আম্মা আমার মরহুম পিতার মীরাসসূত্রে বাড়ির জমির ১১ কড়া (২২ শতাংশ) জমির মালিক হয়েছেন। জায়গাটির বর্তমান মূল্য ৬-৭ লক্ষ টাকা। এছাড়া আম্মার আর কোনো সম্পদ, অলংকারাদি বা নগদ অর্থ নেই। আম্মার ভরণ-পোষণ আমরা ছেলেরাই করি। উপরোক্ত জায়গাটি বর্তমানে খালি পড়ে আছে। চারদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। জানার বিষয় এই যে, আমার আম্মার উপর কি হজ্ব করা ফরয?

 

(খ) আমি আমার পিতার মীরাসসূত্রে ৫ কাঠা জমির মালিক হয়েছি। জমিটি আমি ৯ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। চুক্তি হয়েছিল, ৫ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু ৪ মাসে ৬ লক্ষ টাকা পরিশোধের পর বাকি টাকা এখনও পরিশোধ করেনি। এক বছরেরও বেশি সময় দিচ্ছি-দিব বলে পার করে দেয়।

এখন জিজ্ঞাসার বিষয় হল, আমাকে উক্ত বকেয়া ৩ লক্ষ টাকার যাকাত আদায় করতে হবে কি না? দিলে কখন আদায় করব? উসূল হওয়ার পর বিগত সময়ের যাকাত দিতে হবে কি?


 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৯ অক্টোবর, ২০২০