আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

১৬১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একটি সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের দুটি প্রাইজবন্ড প্রকাশ করা হয়েছে। ঋণ প্রার্থী ব্যক্তিদর কাছে এই বন্ডগুলো ফেসভ্যালুর (গায়ের দাম) চেয়ে অধিক মূল্যে যেমন ১০০০ টাকা মূল্যমানের বন্ড ১১০০ টাকায় এবং ৫০০ টাকা মূল্যমানের বন্ড ৫৫০ টাকায় ছয়মাস বা একবছর মেয়াদে বাকিতে বিক্রি করা হয়। বন্ডবাহক সেবা সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ এজেন্ট বা শপিং সেন্টার থেকে বন্ডের বিনিময়ে নির্ধারিত নগদ অর্থ অথবা তৎমূল্যের পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে নিজের প্রয়োজন পূরণ করে। অপর দিকে বন্ডের দ্বিতীয় ক্রেতা (এজেন্ট বা দোকানদার) বন্ডটি সেবা সংস্থার অফিসে জমা দিয়ে যথার্থ মূল্য নগদ উঠিয়ে নেয়। উক্ত পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহীতাকে ছয়মাস বা একবছর পর তার সংগৃহীত নগদ অর্থ (১০০০ বা ৫০০) অথবা তৎমূল্যে পণ্য সামগ্রীর চেয়ে অধিক (১১০০ বা ৫৫০) পরিশোধ করতে হয়। এখন জানার বিষয় হল, উক্ত পদ্ধতির শরয়ী বিধান কী? জানিয়ে উপকৃত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৯৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার কয়েক বিঘা জমি আছে। এতে যে ধান হয় তার বেশিরভাগ অংশ সেদ্ধ করে শুকিয়ে বিক্রি করি। তাতে ভাল লাভ হয়। কিছু দিন আগে এক লোক আমাকে ২০,০০০/- টাকা দিয়ে বলেনÑ টাকাগুলো দিয়ে আপনি নিজের মনমত ব্যবসা করেন। ব্যবসায় যে লাভ হবে তার অর্ধেক আমাকে দেবেন। আমি এই টাকাগুলো দিয়ে ধান কিনে আমার ধানের সাথে সেদ্ধ করে ব্যবসা করতে চাচ্ছি। এক লোক আমাদের চুক্তিটি জানার পর বলল, তার ধানগুলো নিজের ধানের সাথে মিশিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন না। এদিকে অন্য কোনো ব্যবসায় আমি অভ্যস্ত নই। তাই হুযূরের কাছে উক্ত বিষয়টির শরঈ সমাধান জানতে চাচ্ছি।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৭৫৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার এক বন্ধুর দুইটি পিকআপ আছে। আর আমার একটি বড় ট্রাক আছে। বর্তমানে আমার ব্যবসায়িক কাজের জন্য ছোট পিকআপের প্রয়োজন বেশি। বিভিন্ন জায়গায় মাল পাঠাতে ছোট পিকআপ বেশি সুবিধাজনক। আর আমার উক্ত বন্ধু বড় ট্রাক দিয়েও ভালো ইনকাম করতে পারবে। তাই আমি মাসিক হিসাবে আমার ট্রাক তাকে ভাড়া দিয়ে বিনিময়ে তার পিকআপ দুটি ভাড়ায় নিতে চাচ্ছি। অর্থাৎ যার যার মালিকানা বহাল থাকবে। তবে আমার ট্রাক চালিয়ে যা ইনকাম হবে তা সে নেবে। বিনিময়ে তার পিকআপ দুটি আমি ব্যবহার করব। শরীয়তের দৃষ্টিতে এভাবে চুক্তি করার বিধান কী?
 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৬৪৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

প্রায় তিন মাস পূর্বে আমার সন্তান হয়। এরপর ৩৫ দিন পর্যন্ত স্রাব চলতে থাকে। এই স্রাব বন্ধ হওয়ার ৭ দিন পর নিয়মিত মাসিকের তারিখ অনুযায়ী পুনরায় স্রাব শুরু হয় এবং অন্যান্য সময়ের মত স্বাভাবিকভাবেই ৬ দিন পর্যন্ত স্রাব আসে। আমি এ ৬ দিন মাসিকের সময় হিসেবে নামায আদায় করিনি।

কিছুদিন পূর্বে আমার এক আলেমা আত্মীয়া বললেন, দুই স্রাবের মাঝে যেহেতু ১৫ দিন ব্যবধান হয়নি তাই পরবর্তী ৬ দিন ইস্তেহাযা বলে গণ্য হবে। তাই ঐ দিনগুলোর নামায কাযা করতে হবে। তবে মাসআলাটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি আপনাদের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

আমি জানতে চাচ্ছি, তার কথা ঠিক কি না? এবং ঐ ছয় দিনের নামায কাযা করতে হবে কি না?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৫৪২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার বাবা রাষ্ট্রীয় একটি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বাবার ইন্তেকালের পর আমরা তার থেকে একটি বাড়ি ও উক্ত বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে পেনশনের টাকা মীরাস হিসাবে পাই। তারা আমাদেরকে পেনশনের ৫০% একত্রে দেয়। আর বাকী ৫০% প্রতি মাসে সাড়ে আঠার হাজার টাকা করে দেয়। আমাদের বাড়িটি নির্মাণে মোট ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। তার মধ্যে ৫০ লাখ জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন বাবদ প্রাপ্ত টাকা। আর বাকি টাকার বেশির ভাগই বৈধভাবে উপার্জিত। বর্তমানে আমরা বাড়ি ভাড়া আর মাসিক পেনশনের টাকা দিয়ে চলি। এ ছাড়া আমাদের আর কোনো আয় নেই। তবে আমাদের পরিবারে দুজন সদস্য কর্মক্ষম।

জানতে চাই, বাবার ওয়ারিসদের জন্য এ বাড়ীতে থাকা ও তার ভাড়া এবং পেনশনের টাকা গ্রহণ করা কি জায়েয হবে? নাজায়েয হলে করণীয় কী? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৯৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

তারাবীর নামায সংক্রান্ত দুটো বিষয় জানতে চাচ্ছি-

১. তারাবীর নামাযে চার রাকাত পর পর মুসল্লীরা নিম্নোক্ত দুআ-

سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ، سُبْحَانَ ذِي الْعِزّةِ وَالْعَظمَةِ ...

পড়ে থাকেন। এ সময় আসলে কী করণীয়? এ দুআ পড়বে নাকি ভিন্ন কোনো দুআ পড়বে? এ দুআ পড়ার অবকাশ আছে কি?

২. মাঝে মাঝে এমন হয় যে, দেরি করে আসার কারণে ইশার নামায শেষ করে তারাবীতে শরীক হতে হতে ৪/৬ রাকাত হয়ে যায়। ২০ রাকাত পড়ানোর পর ইমাম সাহেব বিতিরের জন্য দাঁড়িয়ে যান। তখন আমার কী করণীয়? তারাবীর বাকি রাকাতগুলো পড়তে গেলে বিতির ছুটে যাওয়ার আশংকা হয়। জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০