আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

৩০৩৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি এক মাসের চুক্তিতে ২,৫০০/- টাকার বিনিময়ে ১টি রুম ভাড়া নিয়েছি। ৭/৮ দিন থাকার পর বাসার পানির পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে পানি এতই খারাপ হয়েছে যে, খাওয়া-দাওয়া, অযু-গোসল ইত্যাদি কোনো কাজে ব্যবহারের যোগ্য ছিল না। এমনকি এ কারণে আমার এক বাচ্চার ডায়রিয়া হয়েছে এবং আমার স্ত্রী ও আরেক বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে। তারপরও আমি ৪/৫ দিন বাহির থেকে পানি এনে সকল কাজ করি। পরবর্তীতে পানির লাইন ঠিক না করার কারণে ১২ দিন পর বাসা ছেড়ে দিই। এখন বাড়িওয়ালা বলছে, ঐ মাসের পূর্ণ ভাড়া দেওয়ার জন্য। আমি বলছি যে, আমি যুক্তিসঙ্গত কারণে বাসা ছেড়েছি। বিনা কারণে বাসা ছাড়িনি। তাই যতদিন ছিলাম ততদিনের ভাড়া দিব। জানিয়ে বাধিত করবেন যে, শরীয়তের আলোকে কার কথা সঠিক?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৪৭৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার আব্বু এক দোকানির কাছে একটি স্টিলের আলমারির অর্ডার করেন। সে ১৫ তারিখে ডেলিভারি দিতে চায়।  পরে ৭ তারিখে সে ফোনে আব্বুকে বলে যে, আলমারী প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে চাইলে নিয়ে যেতে পারবেন। আব্বু ব্যস্ততার কারণে ঐ দিন যেতে পারেননি। ১০ তারিখ তা আনতে গেলে জানতে পারেন যে, সে অতিরিক্ত দাম পেয়ে অন্যত্র তা বিক্রি করে দিয়েছে। এতে আব্বু রেগে যান। সে আব্বুকে পনের তারিখের ভিতর আরেকটি বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে। আব্বু এতে রাজি হননি এবং তার কাছ থেকে আর আলমারি নিবেন না বলে জানিয়ে দেন। মুফতী সাহেবের কাছে আমার জিজ্ঞাসা হল, দোকানির জন্য এভাবে অর্ডারী বস্তু বিক্রি করা বৈধ হয়েছে কি না? এক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা কি তার জন্য হালাল হবে? আর শুধু এ কারণে আব্বুর তার সাথে চুক্তি বাতিল করা কি ঠিক হয়েছে?

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৩৬৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

হযরতের কাছে বিনীত নিবেদন এই যে, আমাদের এলাকায় লোকজন বিভিন্ন পদ্ধতিতে জমি চাষাবাদ করে। যার মধ্যে একটি পদ্ধতি হল- একজন ব্যক্তি অপরজন থেকে উদাহরণ স্বরূপ এক বিঘা জমি ৫ বছরের জন্য নেয় এবং অগ্রিম বাবদ দেড় লক্ষ টাকা দেয় এবং চুক্তি হয় যে, সে জমিওয়ালাকে প্রতি বছর ৫৬০ টাকা করে ভাড়া দিবে এবং নির্ধারিত বছরের পর পূর্ণ টাকা জমিওয়ালা থেকে ফেরত নিবে। অথবা প্রতি বছর ৫৬০ টাকা করে ভাড়া না দিয়ে নির্ধারিত বছরের পর মূল টাকা থেকে ৫৬০ টাকা করে প্রতি বছরে বাদ দিয়ে বাকি টাকা জমিওয়ালা ফেরত দিবে। যেমনটি দোকানের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

হযরতের কাছে জানার বিষয় হল, উল্লেখিত পদ্ধতিতে জমি চাষাবাদ করা জায়েয হবে কি না?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
১৬১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

একটি সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের দুটি প্রাইজবন্ড প্রকাশ করা হয়েছে। ঋণ প্রার্থী ব্যক্তিদর কাছে এই বন্ডগুলো ফেসভ্যালুর (গায়ের দাম) চেয়ে অধিক মূল্যে যেমন ১০০০ টাকা মূল্যমানের বন্ড ১১০০ টাকায় এবং ৫০০ টাকা মূল্যমানের বন্ড ৫৫০ টাকায় ছয়মাস বা একবছর মেয়াদে বাকিতে বিক্রি করা হয়। বন্ডবাহক সেবা সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ এজেন্ট বা শপিং সেন্টার থেকে বন্ডের বিনিময়ে নির্ধারিত নগদ অর্থ অথবা তৎমূল্যের পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে নিজের প্রয়োজন পূরণ করে। অপর দিকে বন্ডের দ্বিতীয় ক্রেতা (এজেন্ট বা দোকানদার) বন্ডটি সেবা সংস্থার অফিসে জমা দিয়ে যথার্থ মূল্য নগদ উঠিয়ে নেয়। উক্ত পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহীতাকে ছয়মাস বা একবছর পর তার সংগৃহীত নগদ অর্থ (১০০০ বা ৫০০) অথবা তৎমূল্যে পণ্য সামগ্রীর চেয়ে অধিক (১১০০ বা ৫৫০) পরিশোধ করতে হয়। এখন জানার বিষয় হল, উক্ত পদ্ধতির শরয়ী বিধান কী? জানিয়ে উপকৃত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৯৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার কয়েক বিঘা জমি আছে। এতে যে ধান হয় তার বেশিরভাগ অংশ সেদ্ধ করে শুকিয়ে বিক্রি করি। তাতে ভাল লাভ হয়। কিছু দিন আগে এক লোক আমাকে ২০,০০০/- টাকা দিয়ে বলেনÑ টাকাগুলো দিয়ে আপনি নিজের মনমত ব্যবসা করেন। ব্যবসায় যে লাভ হবে তার অর্ধেক আমাকে দেবেন। আমি এই টাকাগুলো দিয়ে ধান কিনে আমার ধানের সাথে সেদ্ধ করে ব্যবসা করতে চাচ্ছি। এক লোক আমাদের চুক্তিটি জানার পর বলল, তার ধানগুলো নিজের ধানের সাথে মিশিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন না। এদিকে অন্য কোনো ব্যবসায় আমি অভ্যস্ত নই। তাই হুযূরের কাছে উক্ত বিষয়টির শরঈ সমাধান জানতে চাচ্ছি।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
৭৫৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার এক বন্ধুর দুইটি পিকআপ আছে। আর আমার একটি বড় ট্রাক আছে। বর্তমানে আমার ব্যবসায়িক কাজের জন্য ছোট পিকআপের প্রয়োজন বেশি। বিভিন্ন জায়গায় মাল পাঠাতে ছোট পিকআপ বেশি সুবিধাজনক। আর আমার উক্ত বন্ধু বড় ট্রাক দিয়েও ভালো ইনকাম করতে পারবে। তাই আমি মাসিক হিসাবে আমার ট্রাক তাকে ভাড়া দিয়ে বিনিময়ে তার পিকআপ দুটি ভাড়ায় নিতে চাচ্ছি। অর্থাৎ যার যার মালিকানা বহাল থাকবে। তবে আমার ট্রাক চালিয়ে যা ইনকাম হবে তা সে নেবে। বিনিময়ে তার পিকআপ দুটি আমি ব্যবহার করব। শরীয়তের দৃষ্টিতে এভাবে চুক্তি করার বিধান কী?
 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০