আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

২৯৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার মামাতো বোনের তুলনায় ওর স্বামীর বয়স অনেক বেশি ছিল। সে কারণে ওদের মধ্যে কোনো বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলেই আমার মামাতো বোন বলত, তুমি যদি আমাকে তালাক দিয়ে দাও তাহলে আমার কোনো সমস্যা নেই। গত সপ্তাহে আবার ঝগড়া হলে আমার মামাতো বোন কথার একপর্যায়ে বলে উঠে, তাহলে তুমি আমাকে তালাক দিয়ে দাও। তখন ওর স্বামী রাগের মাথায় বলে ফেলেছে, যা দিলাম। মুখে তালাক বা এজাতীয় কোনো শব্দ উল্লেখ করেনি। এখন একথা বলার দ্বারা তালাক হয়েছে কি না? কয়েকজন থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। সঠিক মাসআলাটি মুহতারামের নিকট জানতে চাচ্ছি। আর যদি তালাক হয়ে যায় তাহলে পুনরায় একত্রে থাকতে চাইলে কী করণীয়?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২০ অক্টোবর, ২০২০
২১২৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কিছুদিন আগে আমার স্ত্রী তার বাপের বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমার থেকে অনুমতি চায়। আমি তাকে সাফ মানা করে দেই। তারপর কথার এক পর্যায়ে সে আমার সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। আমি তাকে বারবার তর্ক করতে নিষেধ করা সত্ত্বেও সে আমার সাথে তর্ক করেই যাচ্ছে। ফলে এক পর্যায়ে আমি রাগের মাথায় তালাকের নিয়তে বলে ফেলি, যাও, তুমি আজ থেকে স্বাধীন। পরক্ষণেই আমি ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হই। এখন আমি জানতে চাই, আমার উক্ত কথার দ্বারা তালাক পতিত হয়েছে কি না? আর হয়ে থাকলে এখন আমাদের ঘর-সংসার করার জন্য করণীয় কী? জানালে কৃতজ্ঞ হব।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২০ অক্টোবর, ২০২০
১৮০২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার প্রতিবেশী সাদেক তার স্ত্রী সুহানাকে বিভিন্ন কারণে একের পর এক তিন তালাক দেয়। তৃতীয় তালাক দেওয়ার পর ইদ্দতের ভেতরেই সুহানাকে আশিক বিয়ে করে। সুহানা বিশ দিন যাবত আশিকের কাছে ছিল। এবং তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীসূলভ আচরণও হয়। বিশ দিন পর আশিক সুহানাকে তালাক দিয়ে দেয়। পরে আশিক জানতে পারে যে, সুহানার সাথে তার বিবাহ ইদ্দতের ভেতরেই সংগঠিত হয়েছিল। জানার বিষয় হল, সুহানার সাথে আশিকের এই বিবাহ কি শুদ্ধ হয়েছিল? যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে এখন মহিলাটি ইদ্দত পালন করবে কীভাবে? আর এ বিবাহের কারণে কি সাদেকের জন্য সুহানাকে দ্বিতীয়বার বিবাহ করা বৈধ হবে? আর আশিক মহিলাটির জন্য বিবাহের সময় যে মোহর নির্ধারণ করেছিল তা কি দিতে হবে?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২০ অক্টোবর, ২০২০
৬১৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার ভগ্নিপতির গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। ঢাকাতেও তাদের নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। তার কর্মস্থান ঢাকায় ছিল বিধায় ফ্যামিলি নিয়ে ঢাকাস্থ বাড়িতেই বসবাস করতেন। বিশেষ ছুটির সময়গুলোতে হোমনায় এসে থাকতেন। গত কয়েকদিন আগে আমার ভগ্নিপতি তার ঢাকাস্থ বাড়িতে হার্ট এ্যাটাক করেন। হসপিটালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন তাকে হোমনার গ্রামের বাড়িতে কবরস্থ করা হয়। এ অবস্থায় এখন আমার বোন কি হোমনায় এসে ইদ্দত পালন করতে পারবে? না ঢাকাতেই ইদ্দত পালন করতে হবে? অথবা যদি কিছুদিন সে ঢাকায় আর কিছুদিন হোমনায় ইদ্দত পালন করে তাহলে কি কোনো অসুবিধা আছে?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২০ অক্টোবর, ২০২০
১৮০১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

জনৈক মহিলার স্বামী কুয়েতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। গত ২৫ রজব কর্মস্থলে যাওয়ার পথে এক মর্মামিত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে উদঘটিত হয় যে, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তখন উভয় দেশের দূতাবাসের আলোচনার ফলে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়। গত ২৪ শাবান বাংলাদেশ দূতাবাস মৃত ব্যক্তির পরিবারকে খবরটি নিশ্চিত করে। জানার বিষয় হল, উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী কবে থেকে ইদ্দত গণনা শুরু করবে? মৃত্যুবরণ করার সময় থেকে নাকি সংবাদ পাওয়ার পর থেকে? জানিয়ে বাধিত করবেন।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২০ অক্টোবর, ২০২০