আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#১০৭৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার একজন খালা গত তিন বছর আগে ব্রেন স্ট্রোক করেন। এরপর থেকে তিনি আর পূর্ণ জ্ঞান ফিরে পাননি। অনেক কিছুই মনে রাখতে পারতেন না। মাঝেমধ্যে আপন-জনদেরকেও চিনতে তার বেগ পেতে হত। নামাযের সময় হলে কেউ মনে করিয়ে দিলে অজু করে এসে নামাযে দাঁড়াতেন। তবে কয় রাকাত পড়ছেন, সিজদা কয়টি করছেন মনে রাখতে পারতেন না। অর্থাৎ শুদ্ধভাবে কখনও নামায পড়তে পারতেন না। এ অবস্থায় তিন বছর যাওয়ার পর গত কিছুদিন আগে তিনি এন্তেকাল করেন। জানতে চাচ্ছি, তার উক্ত দীর্ঘ সময়ের নামাযগুলোর হুকুম কী? এ নামাযগুলোর ফিদয়া দিতে হবে কি?

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#১০৭২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার পাঁচ বছরের একটা ছোট্ট ছেলে ছিল। তার নাম ছিল সালমান। সে পরিবারের সবাইকে মাতিয়ে রাখত। প্রায় সারাদিন সে আমার সাথেই থাকত। আমি তাকে অনেক বেশি মুহাব্বত করতাম। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা হঠাৎ করে সে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। দাফন কাফন হয়েছে আজ চার পাঁচ দিন। কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই আমি ও তার আম্মু স্বপ্নে দেখি, সে বলছে, আব্বু আমি জীবিত। তুমি আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। এখন আমরা সন্দেহে পড়ে গেছি, আসলে সে জীবিত না মৃত। এখন হুযুরের নিকট জানতে চাচ্ছি, আমি কি তার কবর খনন করে দেখে নিতে পারব আসলে জীবিত না মৃত? শরীয়ত কি আমাকে এটার অনুমতি দেয়?

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
#১০৭০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সে ঢাকায় থাকত। মৃত্যুর পরে তার জানাযা ও দাফনের জন্য তাকে গ্রামে নিয়ে আসা হয়। সবাই মনে করেছিল, ঢাকা থেকে মৃত ব্যক্তিকে গোসল করিয়ে আনা হয়েছে। তাই তারা তার গোসল না করিয়ে জানাযা পড়ে ফেলে। হঠাৎ তার এক আত্মীয় বলল, তাকে তো ঢাকা  থেকে গোসল করিয়ে আনা হয়নি। তখন এ ব্যাপারে ইমাম সাহেবের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, এখন মাইয়েতকে গোসল করিয়ে পুনরায় তার জানাযা পড়তে হবে। পরে তাই করা হয়েছে। এখন জানতে চাই, ইমাম সাহেবের কথা কি ঠিক? আমাদের জন্য কি ঐ ব্যক্তির জানাযা পুনরায় পড়া আবশ্যক ছিল? এমনটি হলে কী করণীয়?

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৮ আগস্ট, ২০২১
#১০৬২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

চাচার কাছে শুনেছি দাদীর অনেক জায়গা-জমি ছিল। চাচার বর্ণনা অনুযায়ী বুঝলাম, দাদীর এ পরিমাণ প্রয়োজনাতিরিক্ত জমি ছিল যার একাংশও বিক্রি করে তিনি হজ্ব করতে পারতেন। কিন্তু সকল সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তিনি হজ্ব করেননি। চাচাকে এ ব্যাপারে বুঝালে তিনি দাদীর পক্ষ থেকে হজ্ব করতে রাজি হলেন। পরে চাচা বললেন, আম্মা আমাকে তো এ ব্যাপারে কিছু বলে যায়নি। এখন কীভাবে কী করি। আর সামনে আমার ব্যস্ততা বাড়তে পারে তখন অন্য কাউকে দিয়ে মায়ের পক্ষ থেকে হজ্ব করালে হবে কি না? এ দুটি প্রশ্নের উত্তর আমার জানা ছিল না। তাই হুযুরের কাছে এর উত্তর জানতে চাচ্ছি।

 

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০