আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#১৩৫১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকার একটি গ্রাম্য জামে মসজিদের টাকা অগ্রিম দিয়ে অদূরে একটি ব্রিক ফিল্ডের সাথে বিগত কয়েক বছর থেকে লাভজনক হারে দাদন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে ব্রিক ফিল্ডের মালিক উক্ত মসজিদকে নির্দিষ্ট সিজনে যে পরিমাণ ইট সরবরাহ করার জন্য নির্দিষ্ট করা হয় তা মসজিদের পক্ষ হতে পাবলিকের নিকট লাভজনক হারে বিক্রি করে টাকা নিজ হাতে মসজিদের অনুমতিতে রেখে দেয়। মসজিদ পক্ষ পুনরায় আরো কিছু টাকা ব্রিক ফিল্ডের মালিকের নিকট দিয়ে উক্ত কার্যক্রমের নবায়ণ করে।

এখন আমাদের প্রশ্ন হল, উক্ত গৃহীত পদ্ধতি ইসলামী শরীয়তে বৈধ হয়েছে কি না? যদি উক্ত ব্যবস্থা শরীয়ত পরিপন্থী হয়ে থাকে তাহলে সঠিক নিয়ম বিস্তারিত দলিলসহ জানালে উপকৃত হব।

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৯ অক্টোবর, ২০২০
#১৩৫০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আলহামদু লিল্লাহ! আল্লাহ আমাকে যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদ দান করেছেন। প্রতি বছর একাই একটি গরু কুরবানী দেওয়ার তাওফীক হয়। গত কুরবানীর ঈদে একাই কুরবানী দেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি গরু ক্রয় করি। আমার এক চাচা বললেন, তোমার গরুটা যেহেতু বড়। তাই আলাদাভবে গরু কিনতে চাচ্ছি না। তোমার গরুর দুই ভাগ আমি নিতে চাচ্ছি। যা মূল্য হয় দিয়ে দেব। তখন আমি চাচাকে শরিক বানিয়ে নিই। মূল্য নিতে না চাইলেও জোর করে দিয়ে দেয়। প্রশ্ন হল, পশু ক্রয়ের পর কাউকে শরিক বানানো জায়েয আছে কি না এবং আমাদের উক্ত কুরবানী সহীহ হয়েছে কি না?

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
#১৩৪৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে আল্লাহ তাআলা আমাকে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দিয়েছেন। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে সবাই আলহামদু লিল্লাহ ইসলাম গ্রহণ করেছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে চেষ্টা  চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমার বাবা-মা এবং অন্যান্য আত্মীয়, যারা অমুসলিম অবস্থায় মারা গেছে, তাদের জন্য খুবই দুঃখ ও আফসোস হয়। পরকালে তাদের মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করতাম। এ ব্যাপারে ইমাম সাহেবের সাথে আলোচনা করলে তিনি বললেন, তাদের জন্য এভাবে দুআ করা জায়েয হবে না। তাই জানার বিষয় হল, আসলেই কি তাদের জন্য দুআ করা জায়েয হবে না?

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
#১৩৩৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

 

 

সেদিন আসরের নামাযে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব ভুলে তৃতীয় রাকাতে বসে পড়েছেন। কিন্তু কেউ লোকমা দেয়নি। এরপর চতুর্থ রাকাতে ইমাম সাহেব না বসে সোজা দাঁড়িয়ে যান। কেননা তিনি ভেবেছেন, এটি তৃতীয় রাকাত। মুসল্লিরা শেষ বৈঠকে বসে লোকমা দিয়েছেন। কিন্তু ইমাম সাহেব শেষ বৈঠকে আর ফিরে আসেননি। বাধ্য হয়ে মুসল্লিরা বৈঠক ছেড়ে দাঁড়িয়ে ইমাম সাহেবের অনুসরণ করেন। মাসআলা জানা থাকায় আমি ও কয়েকজন মুসল্লি শেষ বৈঠকে বসে ছিলাম। এরপর ইমাম সাহেব যখন পঞ্চম রাকাতের সিজদা করেছেন তখন আমরা সালাম ফিরিয়েছি। এরপর অবশ্য আমরাও সকলের সাথে সতর্কতাবশত পুনরায় আসরের নামায আদায় করে নিয়েছি। জানার বিষয় হল, আমাদের প্রথম নামায সহীহ হয়েছিল কি না।

উল্লেখ্য, তৃতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব বসার কারণে যে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়েছে আমরা তা আদায় করিনি।

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০