নামাজের ৩/৪ ঘন্টা আগে ধুমপান করলে কি নামাজ হবে?
প্রশ্নঃ ৯৩৭৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নামাজের ৩/৪ ঘন্টা আগে ধুমপান করলে কি নামাজ হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইতিমধ্যে এ বিষয়ে উত্তর দেয়া হয়েছে. যে বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাচ্ছেন সেটা আগে সার্চ অপশনে খুঁজে দেখুন। উত্তরটি নিচে সংযুক্ত করা হল।
ধূমপান করে সরাসরি নামাযে দাঁড়ানো মাক্রুহ।
যদিও নামায হয়ে যাবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
রেফারেন্স উত্তর :
ধুমপানের কারণে কি চল্লিশ দিনের ইবাদত বরবাদ হয়ে যায়?
প্রশ্নঃ ৮৬১৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সিগারেট খাওয়া কি হারাম? সিগারেট খেলে কি 40 দিনের ইবাদত কবুল হবে না? সিগারেটের বিষয়ে শরীয়ত কি বলে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১- ধুমপান করা নাজায়েয। এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। জেনে শুনে নিজের জান-মালের ক্ষতি করা গুনাহ। অধিকন্তু ধুমপায়ীর মুখের দুর্গন্ধে অন্যের কষ্ট হয়, যা পৃথক একটি গুনাহ। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আর দুর্গন্ধযুক্ত অবস্থায় নামাযে দাঁড়ানো মাকরূহে তাহরীমী। বরং এ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করাও মাকরূহ। হাদীস শরীফে ধুমপানের চেয়ে অনেক কম দুর্গন্ধ বস্ত কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
২-তবে "সিগারেট খেলে ৪০ দিনের ইবাদত কবুল হয়না" একথা বলার জন্য সরাসরি কুরআন - হাদিস থেকে দলিল লাগবে। যেটা এখানে অনুপস্থিত।
হ্যাঁ, মদ্যপায়ীর ক্ষেত্রে হাদীসে এসেছে যে, তার ৪০ দিনের নামায কবুল হয়না।
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ أَنْبَأَنَا عُثْمَانُ بْنُ حِصْنِ بْنِ عَلَّاقٍ دِمَشْقِيٌّ قَالَ حَدَّثَنَا عُرْوَةُ بْنُ رُوَيْمٍ أَنَّ ابْنَ الدَّيْلَمِيِّ رَكِبَ يَطْلُبُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ ابْنُ الدَّيْلَمِيِّ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقُلْتُ هَلْ سَمِعْتَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ شَأْنَ الْخَمْرِ بِشَيْءٍ فَقَالَ نَعَمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ رَجُلٌ مِنْ أُمَّتِي فَيَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَلَاةً أَرْبَعِينَ يَوْمًا
উরওয়া ইবন রুওয়ায়ম (রহঃ) বলেন, একদা ইবন দায়লামী (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবন আস (রাঃ)-এর খোঁজে সওয়ার হলেন। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আবদুল্লাহ্ ইবন আমর! আপনি কি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মদ সম্বন্ধে কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আমার উম্মতের কেউ শরাব পান করলে আল্লাহ তা'আলা তার চল্লিশ দিনের নামায কবুল করবেন না। (সুনানে নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)- ৫৬৬৪)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
প্রশ্নঃ ৮১৩২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,আমার প্রশ্নটি হলো,অজু করে অনেককেই দেখি ধূমপান করতে।ধূমপান করে নামাজে দাড়ালে অজু থাকবে নাকি ভেংগে যাবে?অথবা ধূমপান করে কোরআন শরীফ ধরা বা পড়া যাবে কিনা??হাদিসের আলোকে জানালে উপকৃত হবো??
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ধূমপান করা নাজায়েয। এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। জেনে শুনে নিজের জান-মালের ক্ষতি করা গুনাহ। অধিকন্তু ধূমপায়ীর মুখের দুর্গন্ধে অন্যের কষ্ট হয়, যা পৃথক একটি গুনাহ। হাদীসে আছে,
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يُؤْذِي جَارَهُ.
‘‘যে কেউ আল্লাহ্ তা‘আলা ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।’’ (সহীহ বুখারী ৭/২৬)
তবে ধূমপান ওযু ভঙ্গের কোন কারণ নয় বিধায় ধূমপানের কারণে ওযু ভাঙ্গবে না।
বাকি ধূমপান করে সরাসরি নামাযে দাঁড়ানো মাক্রুহ।
যদিও নামায হয়ে যাবে।
দুর্গন্ধসহ মসজিদে প্রবেশ করাই তো মাকরূহ। হাদীস শরীফে ধূমপানের চেয়ে অনেক কম দুর্গন্ধ বস্ত তথা কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। নবীজী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন–
مَنْ أَكَلَ الْبَصَلَ وَالثُّومَ وَالْكُرَّاثَ فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا، فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ
“যে ব্যক্তি পেঁয়াজ, রসুন এবং পেঁয়াজের মতো গন্ধ হয় এমন কোনো সবজী খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের ধারে কাছেও না আসে, কেননা; মানুষ যে খারাপ গন্ধ দ্বারা কষ্ট পায়, ফিরিস্তারাও তদ্রূপ কষ্ট পায়।” (সহীহ মুসলিম ১/৩৯৫)
ধূমপান করলে তো আরও বাজে গন্ধ বের হয়। পেঁয়াজ, রসুনের চেয়ে বেশি গন্ধ। অতএব ধূমপানের তীব্র দুর্গন্ধের সাথে মসজিদে প্রবেশ করা যে নিষিদ্ধ হবে তা তো সহজেই অনুমেয়।
ধূমপানের মতো নাজায়েয কাজ করে একজন কীভাবে আল্লাহর সামনে দাড়ায়,সেটা বোধগম্য নয়।
আর ধূমপান যেহেতু ওযু ভঙ্গের কারণ নয় তাই কোরআন শরীফ ধরা বা পড়ার জন্য পুনরায় ওযু করার দরকার হবে না।
উল্লেখ্য, ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তা’ই এ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন