প্রশ্নঃ ৮৫০০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,আশা করি মহান রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে ভালো আছেন,শায়েখ আমার প্রশ্নটি হলো,
"যেকোন ফরজ নামাজের পরে বিশেষ করে মাগরিবের পরে দো'আ দরুদ,জিকির করতে করতে যদি সুন্নাত পড়তে সময় শেষ হয়ে যায় তাহলে সুন্নাত নামাজটা পড়া যাবে কিনা,এতে করে সুন্নাত কাযা হওয়ার ভয় আছে কিনা??যেহেতু বলা হয়েছে যে,ফরজ নামাজের পরেই কিছু আমলের কথা,আর যা আমাদের পড়তে কমপক্ষে ১-১.৩০ ঘন্টা সময় লেগে যাবে।
দয়া করে আমাকে যদি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে আমল গুলা কি জানান আমি অত্যন্ত খুশি হবো.
ধন্যবাদ শায়েখ।যেকোন প্রশ্নের উত্তর সাদরে দেওয়ার জন্য।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ ভালো রেখেছেন।
আপনি আগে সুন্নাত নামায পড়ে নিয়ে তারপর দোয়া ওযীফা ইত্যাদিতে মশগুল হবেন।
এটা একটি ভুল পন্থা যে ফরয নামাযের পরের তাসবীহ দ্রুতই পড়াকে নিয়ম মনে করা।
অথবা কিছু তাসবীহ পড়ে বাকিগুলো সুন্নতের পড়েই পড়লেন, এতে কোন সমস্যা নেই।
২- নামায শেষের দুআ-যিকির
নামাযের পর আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু যিকির-আযকার ও দুআ পড়তেন। নামায শেষে সেই দুআ ও যিকিরসমূহ পড়া সুন্নত।
নামায শেষে সালাম ফেরানোর সাথে সাথে প্রথমে তিন বার ইস্তেগফার পড়বে, এভাবে-
أَسْتَغْفِرُ اللهَ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ
(আমি আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাই।)
এরপর নিচের দুআটি পড়বে-
اللّهُمّ أَنْتَ السّلاَمُ، وَمِنْكَ السّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ.
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি শান্তিদাতা, আর তোমার নিকট থেকেই শান্তি আসে, তুমি বরকতময়, হে সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী! -জামে তিরমিযী, হাদীস ৩০০
এরপর আয়াতুল কুরসি পড়বে।
হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
مَنْ قَرَأَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنْ دُخُولِ الْجَنّةِ إِلّا أَنْ يَمُوتَ.
প্রতি ফরয নামাযের পর যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসী পড়বে তার জান্নাতে যাওয়ার পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না। আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নাসায়ী, হাদীস ১০০
এই হাদীস শরীফ থেকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পড়ার নির্দেশনা পাওয়া গেল।
এরপর ৩৩ বার سُبْحَانَ اللهِ (সুবহানাল্লাহ), ৩৩ বার الْحَمْدُ لِلهِ (আলহামদু লিল্লাহ), ৩৪ বার اللهُ أَكْبَرُ (আল্লাহু আকবার) বলবে। (জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৪১২)
এরপর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস একবার করে পড়বে।
এগুলোকে একসাথে مُعَوِّذَات (মুআওউয়িযাত) বলে। এগুলো সব নামাযের শেষে একবার করে, তবে ফজর ও মাগরিব নামাযের পর তিনবার করে পড়বে। (দ্র. সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১৩৩৬; জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৭৫
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন