প্রশ্নঃ ৮২০৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
১। আমার স্বামীর বড় ভাই আছে, শ্বশুরবাড়ি যৌথ পরিবার হওয়ায় প্রায়শই একসাথে খাবার খাওয়া হয় ,সবাই পর্দার ব্যাপারে সচেতন নয়। এক্ষেত্রে আমার করনীয় শরীয়তের আলোকে বলবেন।
২। আমার স্বামী দ্বীন মেনে চলতে চায় কিন্ত সে তার ভাবির সাথে খুব গগুজব না করলেও তার খেয়াল রাখে এবং ভাবিও খেয়াল রাখে এটা আমাকে খুব কষ্ট দেয় কিন্ত কিছু বলতে পারি না এক্ষেত্রে ইসলামের আলোকে পরামর্শ চাচ্ছিলাম।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
পর্দা পুশিদা রক্ষা করে চলা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি যেমন কুরআনুল কারীমের ফরজ বিধান। পর্দা করাও কুরআনুল কারীমের ফরজ বিধান। এটিকে খাটো করে দেখার কোনই সুযোগ নেই।
যৌথ পরিবারে পরিপূর্ণ পর্দা রক্ষা করা বাস্তবিকই কঠিন ব্যাপার। এজন্য যৌথ পরিবারে থাকা ইসলাম উৎসাহ দেয়নি। বরং সাহাবায়ে কেরামের সময় সামাজিক রীতি এমনই ছিল যে, ছেলে সন্তানকে বিয়ে করিয়ে দিলে তাদের আলাদা সংসার করে দেওয়া হতো। এতে বহুবিধ সুবিধা রয়েছে। এদিকে দায়-দায়িত্ব বোধ জন্ম হয়। হালাল কামাইয়ের প্রতি চেষ্টা মেহনত, পরিশ্রমী হওয়া এবং এর সাথে সাথে দ্বীনের বিধি-বিধান রক্ষা করতে পারা যায়।
আপনি কিছুতেই বেপর্দা হয়ে দেবর-ভাসুর দের সম্মুখে খানা খেতে বসবেন না। আগে অথবা পরে খাবারের পর্ব সেরে নিবেন। ঘরে চলাচলের সময় ঢিলেঢালা ফুলহাতা পোশাক পরে বুক-পিঠ ওড়না দিয়ে ঢেকে চেহারার উপর ঘোমটা একটু লম্বা করে টেনে দিয়ে চলাচল করবেন।
কিছুতেই দেবর-ভাসুরদের সঙ্গে কোন রুমে একত্র হবেন না।
আপনার স্বামী তার ভাবির সঙ্গে বেশি খোঁজ খবর নেওয়া আপনার পছন্দ না হওয়া এটি আপনার আত্মসম্মানবোধ। আল্লাহ তায়ালা এই আত্মসম্মানকে পছন্দ করেন। হারাম এবং নাজায়েজ এর ক্ষেত্রে বিশেষত শয়তান যেখানে সুযোগ খুঁজে নিতে পারে এমন ক্ষেত্রে আত্মসম্মান বোধ আল্লাহ তাআলার কাছে খুবই প্রশংসনীয়। যেসব প্রয়োজনে আপনার স্বামী ভাবীর সঙ্গে কথা বলতে চায় সেই প্রয়োজনগুলো আপনিই পূরণ করে দিন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন